পাঁচ দিন পর আখাউড়া ইমিগ্রেশন সচল
আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৬ আগস্ট ২০২৪, ০৮:৩৮ পিএম
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের উজানের পাহাড়ি ঢল ও টানা বর্ষণের ফলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলায় ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি হয়। বৃষ্টিপাত বন্ধ হওয়ায় কমেছে এখানকার বন্যা পরিস্থিতি। ফলে নিজ নিজ বাড়িতে ফিরেছে বানভাসি মানুষেরা। পাঁচ দিন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট সচল হয়েছে।
তবে পানি সরে গেলেও ভেসে উঠছে বন্যার ভয়াবহ ক্ষতচিহ্ন। স্রোতের তোড়ে ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক, আঞ্চলিক সড়ক, সেতু, কালভার্ট ক্ষতচিহ্ন নিয়ে ভেসে উঠছে। এছাড়া বীজতলা, ফসলের মাঠ, মাছের ঘের, বেড়িবাঁধ, বসতঘর যেন সে ক্ষতের চিহ্ন বহন করছে।
আখাউড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সড়ক ও বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় এখনো যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট থেকে বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় পাঁচ দিন পর পুরোদমে যাত্রী পারাপার শুরু হয়েছে। সোমবার দুপুর ১২টা থেকে এ সীমান্ত পথে পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার শুরু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট ইনচার্জ ওসি খাইরুল আলম। তিনি জানিয়েছেন, ত্রিপুরার পাহাড়ি ঢলের পানিতে সৃষ্ট বন্যায় বুধবার সকাল থেকে আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের সার্ভার, ডেস্কের ইন্টারনেট ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নসহ ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট তলিয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়। এতে গত বুধবার সকাল থেকে এ পথে পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার ও বন্দরের আমদানি রফতানি বাণিজ্য বন্ধ হয়ে পড়ে। পাঁচ দিন পর সোমবার দুপুর থেকে এ পথে পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার শুরু হয়। তবে বেইলি সেতু ও সড়ক মেরামত না করায় আখাউড়া-আগরতলা সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। বিকল্প গ্রামীণ সড়কপথে পিকআপ ও ছোট যানে সীমিত পরিসরে মাছসহ অন্যান্য পণ্যসামগ্রী ভারতে রফতানি করা হচ্ছে।