ছাতকে প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ দাবিতে ৫৮৪ জন স্বাক্ষরিত দুই অভিযোগ
ছাতক (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৬ আগস্ট ২০২৪, ০৭:২১ পিএম
সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার ছৈলা-আফজালাবাদ ইউনিয়নের লাকেশ্বর পলিরগাঁও (এলপি) উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এসএম আশিকুর রহমানের পদত্যগের দাবিতে সুনামগঞ্জে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর সাড়ে ৫ শতাধিক স্বাক্ষরিত সাধারণ ছাত্র ও অভিভাবকরা পৃথক দুটি অভিযোগ দিয়েছেন।
গত রোবরার বিকালে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এসএম আশিকুর রহমানের বিরুদ্ধে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ও অভিভাবকদের পক্ষে নেছার আহমদ, রাজু আহমদ, মুশাদ আহমদ, মুক্তালিব আলী, জাবেল আলী, হাসান, মেহিদ হাসান, নাইমা বেগম, ছাইমা বেগম, রিমা বেগম, নুরজাহান বেগম, হুসিয়ার আলী, উস্তার আলী, জেসমিন আক্তারসহ ৫৮৪ জনের স্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে জানা গেছে, ২০২০ সালে বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক, লাইব্রেরিয়ান, নৈশপ্রহরী, পরিচ্ছন্নতাকারী ও আয়াসহ ৫টি পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া করে সাবেক সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক মিলে প্রায় ৫০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
এছাড়া অতিরিক্ত সেশন ফি, মাসিক বেতন, পরীক্ষার ফি এবং এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে জামানত বাবত ১৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। এসব টাকা ফেরতযোগ্য থাকলেও এখনো তাদের টাকা ফেরত দেওয়া হয়নি।
অভিযোগে জানা গেছে, সাবেক সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক দীর্ঘ ১৫ বছর ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে বিদ্যালয়ের ৫০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তার বিরুদ্ধে নিজের পছন্দের লোক দিয়ে পকেট কমিটি গঠন করে রাতের আঁধারে বিদ্যালয় খুলে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এসএম আশিকুর রহমান একজন আওয়ামী লীগ নেতা ও দুনীতিবাজ। তিনি সাবেক এমপির ঘনিষ্ঠজন।
সূত্র জানায়, লাকেশ্বর পলিরগাঁও (এলপি) উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এসএম আশিকুর রহমান গত ১৯৯৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে অদ্যাবধি এ বিদ্যালয়কে দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছে। তার দুর্নীতির বিরুদ্ধে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ও জনতা প্রতিবাদ করার কারণে বিদ্যালয়ে না এসে আত্মগোপনে রয়েছেন। এসএসসি পরীক্ষার্থীদের টেস্ট পরীক্ষার ফলাফলে স্বজনপ্রীতি এবং টাকা-পয়সা ঘুস নিয়ে ফলাফল পরিবর্তন করা হয়। তার এসব অনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে সাধারণ শিক্ষার্থী তথা এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। অনেক সময় সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রতিকার চেয়ে কোনো সুরাহা পাননি। কারণ তার দলীয় বাহিনী দিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রাণনাশের হুমকি-ধমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে।
এ ব্যাপারে ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা মুন্না প্রধান শিক্ষক আশিকুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তদন্তপূর্বক আইনানুগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।