Logo
Logo
×

সারাদেশ

গৌরীপুরে চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবিতে বিএনপির বিক্ষোভ, শিক্ষার্থীদের বাধা

Icon

গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৬ আগস্ট ২০২৪, ০৬:০৭ পিএম

গৌরীপুরে চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবিতে বিএনপির বিক্ষোভ, শিক্ষার্থীদের বাধা

ময়মনসিংহের গৌরীপুরের রামগোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল-আমিন জনির অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভ করতে গিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

রোববার রামগোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, ১৫ বছর ধরে গুম, খুন, বিচারববির্ভূত হত্যা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতা হত্যার প্রতিবাদে রোববার সকালে রামগোপালপুর ইউনিয়ন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দল কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শাহজালালের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি রামগোপালপুর বাজার প্রদক্ষিণ শেষে রামগোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের দিকে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল-আমিন জনির বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তার অপসারণের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে। 

এ সময় রামগোপালপুর পাওয়ার যোগেন্দ্র কিশোর উচ্চ বিদ্যালয়ের একদল ক্ষুদে শিক্ষার্থী ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এসে চেয়ারম্যানের পক্ষে অবস্থান নেয়। 

চেয়ারম্যানের পক্ষে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীরা জানায়, ইউনিয়ন পরিষদ সরকারি সম্পদ, তা ভাঙা যাবে না এবং চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধেও কিছু করা যাবে না- এমন দাবি তুলে তারা। এ সময় দুই পক্ষের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে বিএনপি নেতাকর্মীরা শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করলে তারা ক্লাসে ফিরে যায়।

এ প্রসঙ্গে মৎস্যজীবী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শাহজালাল বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান জনি পরিষদের কাজে অনেক অনিয়ম ও দুর্নীতি করেছেন। আমরা এসবের প্রতিবাদ করে তার অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছি। 

এ সময় জনির চাচা যোগেন্দ্র কিশোর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মিজানুর রহমান তার ভাতিজাকে রক্ষা করতে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ইউনিয়ন পরিষদের সামনে পাঠিয়ে দিয়ে আমাদের কর্মসূচিতে বাধা দেয়। আমরা চেয়ারম্যানের অপসারণ চাই। আমরা ইউনিয়ন পরিষদ ভাঙতে যাইনি। কোমলমতি শিশুরা আমাদের সামনে আসায় তাদের বুঝিয়ে-শুনিয়ে ক্লাসে পাঠানো হয়েছে। 

এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মো. মিজানুর রহমান বলেন, সকালে বিদ্যালয়ের পাঠদান চলছিল। এ সময় সাবেক শিক্ষার্থীরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কথা বলে বিদ্যালয়ে এসে শিক্ষার্থীদের নিয়ে যায়। তবে শিক্ষার্থীরা চেয়ারম্যানের পক্ষে না বিপক্ষের কর্মসূচিতে ছিল এটা জানি না। আমি জনিকে রক্ষা করতে শিক্ষার্থীদের পাঠিয়েছি এ অভিযোগ ভিত্তিহীন। 

রামগোপালপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল-আমিন জনি বলেন, আমি স্বচ্ছতার সঙ্গে পরিষদের কাজ করেছি। অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। আজকে বিক্ষোভকারীরা পরিষদের সামনে এসে বিক্ষোভ করলে শিক্ষার্থীরা এসে পরিষদের সামনে দাঁড়িয়ে যায়। নয়তো সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। আর আমার বিরুদ্ধে ইউপি সদস্যরা যে অভিযোগ করেছিল সেটাও প্রত্যাহার করে নিয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাকিল আহমেদ বলেন, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ থাকলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইউপি সদস্যরা অভিযোগ প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম