রাজশাহীতে মানববন্ধনে অভিযোগ
সাবেক মেয়রের পরিকল্পনায় ডা.কাজেমকে হত্যা করে পুলিশ
রাজশাহী ব্যুরো
প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০২৪, ০৯:৪৫ পিএম
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের পরিকল্পনায় পুলিশ রাজশাহীর যৌন ও চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. গোলাম কাজেম আলী আহমেদকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ‘নিপীড়ন ও বৈষম্যের শিকার চিকিৎসক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ’র ব্যানারে শনিবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজের (রামেক) সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে এ অভিযোগ তোলেন চিকিৎসকরা। বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
চিকিৎসকরা বলেন, নির্বাচনে যেন বিএনপি-জামায়াত অংশ নিতে না পারে সেজন্য মেয়র লিটনের নির্দেশে রাজশাহীর পুলিশ কমিশনার ও কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তার পরিকল্পনায় এ হত্যাকাণ্ড বাস্তবায়িত হয়। ওই সময় ১৮টা খুনের ঘটনা ঘটেছে। পেশাদার খুনিরা সূক্ষ্মভাবে খুন করেছে। দুটি স্টেপে হার্ট তিন ভাগ হয়ে গেছে। প্রত্যেকটা খুন হয়েছে একইভাবে। এ হত্যাকাণ্ডে মহানগর পুলিশের তৎকালীন অতিরিক্ত কমিশনার বিজয় কুমার বসাকসহ আরও কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তার সম্পৃক্ততার অভিযোগ তোলেন বক্তারা।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন-ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) রাজশাহীর নেতা ডা. ওয়াসিম হোসেন, ডা. ফারহান ইমতিয়াজ, ডা. মনোয়ার তারিক সাবু, ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরামের (এনডিএফ) রাজশাহীর সভাপতি অধ্যাপক ডা. কাজী মহিউদ্দীন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক ডা. মুর্শেদ জামান মিঞা, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ছাত্রশিবিরের সভাপতি ডা. আপেল মাহমুদ, নিহত কাজেম আলীর ছেলে আবরার ফারহান আহম্মেদ সাদ প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, রামেক ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি ডা. কাজেমকে ২০২৩ সালের ৩০ অক্টোবর রাতে রোগী দেখে বাসায় ফেরার পথে নগরীর বর্ণালী মোড়ে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। একই রাতে মহানগরীর সিটিহাট এলাকায় এরশাদ আলী নামের এক পলি চিকিৎসকের রক্তাক্ত লাশ পাওয়া যায়। এ দুই হত্যার ঘটনায় মামলা হলেও এখনো কেউ গ্রেফতার হয়নি। হত্যার কারণও উদ্ঘাটন হয়নি।