Logo
Logo
×

সারাদেশ

গাইবান্ধা-৩ আসনের সাবেক এমপি স্মৃতিসহ ২৪ নেতাকর্মীর নামে চাঁদাবাজির মামলা

Icon

গাইবান্ধা প্রতিনিধি 

প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০২৪, ০৪:১৮ পিএম

গাইবান্ধা-৩ আসনের সাবেক এমপি স্মৃতিসহ ২৪ নেতাকর্মীর নামে চাঁদাবাজির মামলা

উম্মে কুলসুম স্মৃতি

১০ লাখ টাকা চাঁদা না দেওয়ায় মারপিটের অভিযোগে গাইবান্ধা-৩ পলাশবাড়ী-সাদুল্লাপুর আসনের সাবেক এমপি উম্মে কুলসুম স্মৃতিরসহ আওয়ামী লীগের ২৪ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পলাশবাড়ী আমলী আদালতে বৃহস্পতিবার বিকালে এই মামলা দায়ের করেন হরিনাথপুর ইউপি চেয়ারম্যান কবির হোসাইন জাহাঙ্গীর। 

মামলার বিবরণে বলা হয়, পলাশবাড়ী উপজেলার হরিনাথপুর ইউনিয়নের রাস্তার দুই পাশে হরিনাবাড়ি সমাজ কল্লান সংস্থা নামের একটি সংগঠনের রোপন করা গাছ বিক্রির জন্য স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদসহ সরকারিভাবে পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে অনুমোদন নেওয়া হয়। তারপর বিক্রির জন্য যথারীতি ২০২৩ সালের শেষের দিকে দরপত্র আহবান করা হয়। নিয়মানুযায়ী দরপত্রের মাধ্যমে ২৯ লাখ ৫০ হাজার টাকায় গাছগুলো কিনে নেয় রংপুরের পীরগঞ্জের হাবিব টেডার্স নামের একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান। 

২০২৪ সালের শুরুর দিকে সবোর্চ্চ দরপত্র দাতা প্রতিষ্ঠানের লোকজন ও ইউনিয়ন পরিষদের লোকজন মিলে গাছগুলো কাটা শুরু করেন। কিন্তু বাধ সাধে আওয়ামী লীগের মনোনীত এমপি উম্মে কুলসুম স্মৃতিসহ তার দলীয় মাস্তান বাহিনীর। এমপি উম্মে কুলসুম স্মৃতির নির্দেশে তার লোকজন লাঠিশোঠা ও ধারাল অস্ত্র নিয়ে হাজির হয় ঘটনাস্থলে। তারা ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেওয়ায় এমপির নির্দেশে গাছ কাটতে বাধা দিয়ে লোকজনকে মারপিট শুরু করে। এতে কয়েকজন আহত হয়। 

আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও এমপির হস্তক্ষেপে তখন থানায় মামলা করা যায়নি। ক্ষমতাসীন সরকার ও কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক  উম্মে কুলসুম স্মৃতি মামলাটিও করতে দেননি। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ও ছাত্র-জনতার চাপের মুখে আওয়ামী লীগ প্রধান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। খবর পেয়ে এমপি স্মৃতিও পালিয়ে যান কানাডার বেগম পাড়ায় তার বাড়িতে। 

এদিকে বর্তমানে অবস্থার পরিবর্তন হওয়ায় হরিনাবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান কবির হোসেন জাহাঙ্গীর বৃহস্পতিবার গাইবান্ধায় এসে পলাশবাড়ী আমলী আদালতে স্মৃতিসহ আওয়ামী লীগের ২৪ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পলাশবাড়ী আমলী আদালতের বিচারক মো. ফারুক আহম্মেদ মামলাটি গ্রহণ করেন।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম