Logo
Logo
×

সারাদেশ

সোনারগাঁয়ে বিএনপির দুই গ্রুপে উত্তেজনা, হামলা ভাঙচুর আহত ৫ 

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন, সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) 

প্রকাশ: ২৩ আগস্ট ২০২৪, ০৮:৪৫ পিএম

সোনারগাঁয়ে বিএনপির দুই গ্রুপে উত্তেজনা, হামলা ভাঙচুর আহত ৫ 

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুর কুতুবপুর এলাকায় বিএনপির সভাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের রুহের মাগফিরাত ও খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় বৃহস্পতিবার সকালে আয়োজিত দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভার প্যান্ডেলে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। 

হামলাকারীরা বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের সাঁটানো ব্যানার, ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলে ও চেয়ার ভাঙচুর করে। সভার আয়োজক বিএনপির নেতাকর্মীরা প্যান্ডেল নির্মাণে বাধা প্রদানকারীদের ধাওয়া দিলে তারা দৌড়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় অন্তত ৫ জন আহত হন। আহতদের স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ঘটনার পর থেকে পুরো কাঁচপুর কুতুবপুর এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। 

এ ঘটনায় কাঁচপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি মুজিবুর রহমান বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার বিকালে সোনারগাঁ থানায় একটি অভিযোগ করেন।  

এলাকাবাসী জানান, উপজেলার কাঁচপুর ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের মাগফিরাত কামনা ও খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। 

আগামীকাল শনিবার (২৪ আগস্ট) এ সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সভায় সোনারগাঁ থানা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে। ওই সভাকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীরা সভাস্থলে চেয়ার, ব্যানার ও ফেস্টুন সাঁটিয়েছেন। 

বৃহস্পতিবার সকালে কাঁচপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বজলুর রহমান ওরফে ডন বজলুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের নারায়ণগঞ্জ জেলার বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান সবুজ, রনি, শাহ আলম, সাইদুর রহমান, জাকির হোসেনসহ সিদ্ধিরগঞ্জের বহিরাগত সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র, লাঠিসোটা নিয়ে সভাস্থলে গিয়ে হামলা চালায়। 

কাঁচপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি মুজিবুর রহমান জানান, দীর্ঘদিন ধরে বজলুর রহমান আওয়ামী লীগের দোসর হয়ে এলাকায় কাজ করে আসছিলেন। স্থানীয় বিএনপির ত্যাগী নেতাকর্মীরা হামলা, মামলার শিকার হলেও তাকে স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করতে দেখা গেছে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বজুলর রহমান ওরফে ডন বজলু এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে মিল, কারখানা দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠে। বিএনপির সভা করতেও এখন সে বাধা দিয়ে যাচ্ছে। 

বিএনপির কর্মী মিজানুর রহমান জানান, ছাত্র-জনতার উভ্যূত্থানে নিহতের মাগফিরাত কামনা ও খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ইউনিয়ন বিএনপির পক্ষ থেকে আয়োজিত মাহফিল ও সভায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী নিয়ে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না। বজলুর রহমান বিএনপির লোক হয়ে থাকলে তিনি সভায় বাধা দেন কেন? এমন আচরণের জন্য বজলুর রহমান বিএনপি বা অঙ্গ সংগঠনের কোনো পদে থাকলে তাকে দ্রুত বহিষ্কার দাবি করছি। 

কাঁচপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বজলুর রহমানের ব্যক্তিগত দুটি ফোন নাম্বারে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও সাড়া মেলেনি। তবে খুদে বার্তা দিলেও সাড়া পাওয়া যায়নি। 

সোনারগাঁ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম কামরুজ্জামান পিপিএম বলেন, বিএনপির সভার প্যান্ডেল ভাঙচুরের ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ নেওয়া হয়েছে। অভিযোগ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম