Logo
Logo
×

সারাদেশ

ছাতকে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৫০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

Icon

ছাতক (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৩ আগস্ট ২০২৪, ০৮:১৮ পিএম

ছাতকে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৫০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার ছৈলা-আফজালাবাদ ইউনিয়নের লাকেশ্বর পলিরগাঁও (এলপি) উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এসএম আশিকুর রহমানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতিসহ ৫০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

বৃহস্পতিবার ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়। সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে ফারহানসহ ৪ জন স্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। 

অভিযোগে বলা হয়, লাকেশ্বর পলিরগাঁও (এলপি) উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এসএম আশিকুর রহমান গত ১৯৯৫ সালের ১ জানুয়ারি যোগদান করলে আজ পর্যন্ত এ বিদ্যালয়কে দুর্নীতি অনিয়মের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছেন। গত কয়েক দিন ধরেই তার দুর্নীতির বিরুদ্ধে সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ করার কারণে তিনি স্কুলে না এসে আত্মগোপনে রয়েছেন। তিনি মাসে ৮-১০ দিন বিদ্যালয়ে আসেন, কিন্তু পুরো মাসের বেতন তুলে নেন। 

২০২০ সালে সহকারী প্রধান শিক্ষক, লাইব্রেরিয়ান, নৈশপ্রহরী, পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও আয়াসহ মোট ৫টি পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া অসম্পূর্ণ রেখে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে নিয়োগ বাণিজ্য করছেন বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী। এমনকি ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরাও এ নিয়োগ সম্পর্কে অবগত নন। 

অভিযোগে বলা হয়, গত ১৬ বছরে স্কুল ফান্ডের প্রায় ৫০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন প্রধান শিক্ষক এসএম আশিকুর রহমান। এছাড়া অতিরিক্ত সেশন ফি, মাসিক বেতন, পরীক্ষার ফি এবং এসএসসি পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে জামানত বাবদ ১৫,০০০ টাকা করে হাতিয়ে নেন। শর্তসাপেক্ষে ফেরতযোগ্য হলেও আজ পর্যন্ত কেউ টাকা ফেরত পায়নি। 

তিনি রাতের আঁধারে নিজের মতাদর্শের লোক দিয়ে পকেট কমিটি গঠন করেন। এসএসসি পরীক্ষার্থীদের টেস্ট পরীক্ষার ফলাফলে স্বজনপ্রীতি এবং টাকা-পয়সা ঘুস নিয়ে ফলাফল পরিবর্তন করেন প্রতিনিয়ত। তার এসব অনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে সাধারণ শিক্ষার্থী তথা এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। 

বিভিন্ন সময় এর প্রতিকার চেয়ে কোনো সুরাহা পাননি সাধারণ শিক্ষার্থীরা। কারণ তার দলীয় ক্যাডার বাহিনী দিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রাণনাশের হুমকি-ধমকি দেন বলে অভিযোগে করেন তারা। এ ব্যাপারে ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা মুন্না অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম