![দুর্নীতির মামলায় নড়াইলের সাবেক মেয়র কারাগারে](https://cdn.jugantor.com/assets/news_photos/2024/08/22/image-841470-1724345929.jpg)
দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগ নেতা জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন বিশ্বাসসহ ৬ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার যশোর স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক মোহাম্মদ সামছুল হক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। মামলার অপর আসামিরা হলেন- তৎকালীন পৌর সচিব শফিকুল আলম লিটু, কাউন্সিলর আহম্মদ আলী খান, কাউন্সিলর তেলায়েত হোসেন, ইজারাদার রফিকুল ইসলাম, ইজাজুল হাসান বাবু।
দুদকের পিপি অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম জানান, আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে নীতিমালা ২০০২-এর ৩ (ঘ) অনুচ্ছেদ ভঙ্গ করে আসামিরা ১৪১২ সালে নড়াইল পৌরসভার রূপগঞ্জ সাধারণ হাট ও নড়াইল বাস টার্মিনাল ইজারা দিয়ে ৭ লাখ ৮১ হাজার ২০টাকা ও ১৪১১ সালে একই হাট ৪ লাখ ৪১ হাজার টাকা আদায় করেন। সর্বমোট ১২ লাখ ২২৮০ টাকা পৌরসভায় জমা না দিয়ে তারা তা আত্মসাৎ করেন।
এ ব্যাপারে দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত যশোর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ওয়াজেদ আলী গাজী দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে ২০০৮ সালের ৭ আগস্ট নড়াইল সদর থানায় মামলা করেন।
এ মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা সহকারী পরিচালক ওয়াজেদ আলী গাজী নড়াইল পৌর মেয়র সোহরাব হোসেন বিশ্বাস, কাউন্সিলর, ইঞ্জিনিয়ার সচিবসহ ১১ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেন।
ওই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২০২২ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি যশোর স্পেশাল ট্রাইব্যুনালের বিচারক প্রত্যেককে ৭ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাস করে সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে আত্মসাৎ করা ১২ লাখ দুই হাজার ২৮০ টাকা জরিমানা করেন। দণ্ডপ্রাপ্তদের ৬ জন পলাতক ছিলেন। উচ্চ আদালতে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন না পেয়ে বৃহস্পতিবার যশোর স্পেশাল ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।