Logo
Logo
×

সারাদেশ

সোনারগাঁয়ের দুই শহিদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা 

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন, সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ)  

প্রকাশ: ২২ আগস্ট ২০২৪, ০৯:১২ পিএম

সোনারগাঁয়ের দুই শহিদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার দুই শহিদের পরিবারে এখনো শোক কাটেনি। পরিবারের লোকজনদের মাঝে চলছে শোকের মাতম।

গত ২০ জুলাই চিটাগাং রোডের ডাচ্ বাংলা মোড় এলাকায় পুলিশের গুলিতে জিস্ট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী মেহেদী নিহত হন। এছাড়াও গত ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ী ঘনা শিল্পনগরী স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী ইমরান নিহত হন।

কোটা আন্দোলনে শহিদ হওয়া মেহেদী ও ইমরানের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন সোনারগাঁয়ের কৃতীসন্তান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক ও বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ওসাকা ফার্মাসিউটিক্যালসের মুখ্য বিজ্ঞানী ডক্টর শাহানুর হোসাইন। তিনি উভয় পরিবারকে দেড় লাখ টাকা করে অর্থ সহায়তা করেন। 

বৃহস্পতিবার বিকালে নিহত ছাত্রদের পরিবারের সদস্যদের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক খালেদ হাসান, স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি অধ্যাপক ওয়াহিদ বিন ইমতিয়াজ বকুল, স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য দেওয়ান হারুনুর রশিদ, পিরোজপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য আফজাল হোসেনসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। 

নিহত ছাত্র ইমরানের বাবা মো. ছানাউল্লাহ সোনারগাঁয়ে একটি শিল্প কারখানায় দিনমজুরের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। আর মেহেদীর বাবা সালেহ আহমেদ মেঘনা টোলপ্লাজা সংলগ্ন বেপারী বাজারের একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সহ-সমন্বয়ক খালিদ হাসান বলেন, একজন সহকর্মী ও রাজপথের সহযোদ্ধাকে হারিয়ে শোকাহত গোটা ছাত্রসমাজ। ছাত্রদের এ অর্জনকে যেন কেউ বিফলে না নিতে পারে সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। বিশেষ করে পটপরিবর্তনের পর বিভিন্ন এলাকায় নৈরাজ্য ও হয়রানিমূলক মামলা দিয়ে যেন কেউ কাউকে হয়রানি করতে না পারে। সেই ব্যাপারে তিনি সবাইকে সতর্ক থাকার আহবান জানান। 

স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ-সভাপতি অধ্যাপক ওয়াহিদ বিন ইমতিয়াজ বকুল বলেন, শত শত তরুণের তাজা প্রাণ ও রক্তের বিনিময়ে আজকে বাংলাদেশ স্বৈরাচার মুক্ত হয়েছে। এ অর্জনের একমাত্র কৃতিত্ব শিক্ষার্থীদের, আমাদের সন্তানদের। আমরা যা গত ১৫ বছরে করতে পারিনি আমাদের সন্তানেরা তা করে দেখিয়েছে। এক্ষেত্রে অনেক সুযোগ-সন্ধানী সেই কৃতিত্বের ভাগ বসাতে চাইছে। মানুষকে হয়রানি ও নিজেদের আধিপত্য বিস্তারে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এদের থেকে সবাইকে সাবধান ও সতর্ক থাকতে হবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম