Logo
Logo
×

সারাদেশ

আ.লীগ নেতা ফরিদ হত্যা

বিচার কার্যক্রমে মন্থরগতি, হতাশ পরিবার

Icon

ভূঞাপুরে (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২০ আগস্ট ২০২৪, ১০:০৯ পিএম

বিচার কার্যক্রমে মন্থরগতি, হতাশ পরিবার

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে আওয়ামী লীগ নেতা ফরিদ হত্যা মামলার কার্যক্রম মন্থরগতির কারণে সুষ্ঠু বিচার পাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় বাদীর পরিবার। নিজ দলীয় লোকজনের হাতে হত্যা হওয়ায় ৮ বছরেও মামলার তেমন অগ্রগতি নেই। এদিকে হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত দুইজন আসামির স্বাভাবিক মৃত্যু হলেও বাকিরা বীরদর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। 

গত সোমবার ভূঞাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম ফরিদ হত্যা মামলার সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য ছিল। তবে দেশের পরিস্থিতির কারণে পুলিশ সাক্ষীদের আদালতে হাজির করতে পারেনি। এ সময় কয়েকজন আসামি আদালতে হাজির হলেও অন্য আসামিরা অনুপস্থিত ছিলেন। পরে মামলার পরবর্তী তারিখ আগামী ৬ নভেম্বর নির্ধারণ করা হয়। 

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ৬ ডিসেম্বর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম ফরিদের গলাকাটা মরদেহ তার নিজ গ্রাম ভারই মধ্যপাড়ার একটি পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়। এর আগের রাতে ফরিদ কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ হয়। হত্যার ঘটনায় নিহত ফরিদের ছোট ভাই ফজলুল করিম বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে ভূঞাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর ফজলুল করিম সাতজন আওয়ামী লীগ নেতার নাম উল্লেখ করে আদালতে আরও একটি মামলার আবেদন করেন। 

আদালত দুটি অভিযোগ তদন্তের জন্য পুলিশকে আদেশ দেন। এ মামলার আসামি করা হয়- উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাহেরুল ইসলাম তোতা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ ভোলা, অলোয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সৈয়দ মাসুদুল হক টুকু, অলোয়া ইউপির সাবেক সদস্য মকবুল হোসেন তরফদারসহ কয়েকজনকে। এদের মধ্যে আব্দুল হামিদ ভোলা, অলোয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম মৃত্যুবরণ করেছেন। 

ফরিদ হত্যা মামলার তদন্ত শেষে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অশোক কুমার সিংহ ২০১৮ সালের ৫ মার্চ আদালতে ১৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন। বর্তমানে মামলাটি টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। এ মামলার অন্যতম আসামি শওকত হোসেন ওরফে সৈকত কারাগারে রয়েছেন। 

টাঙ্গাইল আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি মনিরুল ইসলাম খান জানান, মামলাটি সাক্ষ্যপর্যায়ে রয়েছে। দেশের বর্তমান পরিস্থিতির কারণে পুলিশ সাক্ষীদের আদালতে হাজির করতে পারেননি। পরবর্তীতে তারিখ ধার্য করা হয়েছে। 
মামলার বাদী নিহত ফরিদের ছোট ভাই ফজলুল করিম (ফজলু) জানান, ফরিদকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয় উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সৈয়দ মাসুদুল হক টুকুর গ্রামের বাড়ি ভারইতে। 

সেখানে হত্যার সঙ্গে জড়িতরা মিটিং করে পরিকল্পনা করেন। মামলাটির আসামি নিজ দলের হওয়ায় হত্যার বিচার কার্যক্রম বিলম্ব হচ্ছে। দীর্ঘদিন পরপর মামলার তারিখ পড়ছে। দলের নেতারা ক্ষমতায় থাকাকালীন প্রভাব খাটিয়েছেন। আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে বীরদর্পে। ৮ বছর পেরিয়ে যাচ্ছে তারপরও মামলার অগ্রগতি নেই। মামলাটি দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর দাবি জানাই। এছাড়া আদালতের কাছে আমরা ন্যায়বিচার প্রার্থনা করছি। 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম