শিবালয়ে ছাত্রদের চাপে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার স্বেচ্ছায় অব্যাহতি
যুগান্তর প্রতিবেদন, মানিকগঞ্জ
প্রকাশ: ২০ আগস্ট ২০২৪, ০৮:৩৪ পিএম
অবশেষে ছাত্রদের তোপের মুখে শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফজলে বারী নিজের দুর্নীতি ও নারী কেলেংকারির অপকর্মের দায় স্বীকার করে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি দিয়ে কর্মস্থল থেকে বিদায় নেন। মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
মানিকগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডা. মকছেদুল মোমিন তার অব্যাহতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
একই সঙ্গে অনিয়মে জড়িত থাকার দায় স্বীকার করে হাসপাতালের সিনিয়র নার্স রুনা আক্তার ও প্রধান সহকারী মো. আশরাফুজ্জামান ফরিদ কর্মস্থল থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন বলে তিনি জানান।
সূত্রে জানা গেছে, শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফজলে বারী এই হাসপাতালে ২০২৩ সালে যোগ দেন। তার বিরুদ্ধে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার নামে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ, ছদ্মানামে হাসপাতালের ঠিকাদারি কাজসহ নারী কেলেংকারির মতো অপকর্মের নানান অভিযোগ নিয়ে একদল কলেজছাত্র মঙ্গলবার দুপুরে হাসপাতালে যান। তোপরে মুখে ছাত্রদের কাছে তার কর্মকালে নানান অনিয়ম করে বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ ও নিজের অপকর্মের দায় স্বীকার করেন।
পরে অবস্থা বেগতিক দেখে পরিস্থিতি সামাল দিতে দুপুরেই জেলা সিভিল সার্জন ডা. মকছেদুল মোমিন শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। এ সময় ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলেন সিভিল সার্জন। সার্জনের সামনেই নিজের দুর্নীতি ও অপকর্মের দায় স্বীকার করে তার কাছে একটি অব্যাহতিপত্র দেন।
এ সময় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত ডাক্তার ফজলে বারীকে ‘ভুয়া ভুয়া’ বলে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে ছাত্রদের সামনেই সরকারি গাড়িতে করে কর্মস্থল থেকে বিদায় নিয়ে চলে যান।
এ সময় মানিকগঞ্জ সরকারি দেবেন্দ্র কলেজের শিক্ষার্থী নাহিদুর রহমান, মীর তালহা ওমর ফারুক ও মেহেদী হাসান হৃদয় উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া উলাইল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ফয়সাল হোসেনও ছিলেন।
মানিকগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডা. মকছেদুল মোমিন যুগান্তরকে বলেন, শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফজলে বারী নিজের অপকর্মের দায় স্বীকার করেছেন। এ বিষয়ে অঙ্গীকার দিয়ে তিনি চলে গেছেন। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানানো হবে।