রাজশাহীর বাঘায় চতুর্থ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে শিক্ষক প্রীযুষ কুমারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার অভিযুক্ত শিক্ষককে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। 

সোমবার সন্ধ্যায় বাঘা থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। প্রীযুষ কুমার বাঘা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও নারায়ণপুর গ্রামের বাসিন্দা।

জানা গেছে, রোববার (১৮ আগস্ট) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে বাঘা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক প্রীযুষ কুমার চতুর্থ শ্রেণির বিশ্ব পরিচিতি ও বাংলাদেশ বিষয়ে ক্লাস শেষ হলে স্কুল ছুটি হয়ে যায়। সব শিক্ষার্থী বাড়ি যাওয়ার জন্য ক্লাসরুম থেকে বের হয়। এ সময় সহকারী শিক্ষক প্রীযুষ কুমার এক শিক্ষার্থীকে ডেকে ক্লাস রুমের ভেতর নিয়ে শ্লীলতাহানি করে। ওই শিক্ষার্থী বাড়িতে এসে তার পরিবারকে বিষয়টি জানায়। 

তার অভিযোগ স্কুলের প্রধান শিক্ষক আনজারুল ইসলামকে জানালে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবগত করেন। সোমবার সকাল ১০টার দিকে সহকারী শিক্ষক প্রীযুষ কুমার স্কুলে এলে সব শিক্ষার্থী একত্রিত হয়ে ধাওয়া করে এবং বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে তার বাড়ি ঘেরাও করে রাখে। পরে স্থানীয়দের সহায়তার শিক্ষার্থীরা স্কুলে ফিরে আসে। 

এ খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ওসি ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচারের আশ্বাস দিয়ে শিক্ষার্থীদের শান্ত করেন। এ বিষয়ে শিক্ষার্থীর অভিভাবক থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। পরে বিশেষ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়।

বাঘা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনজারুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি জানানোর সঙ্গে সঙ্গে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়। ওই দিন ছুটি নিয়ে ডাক্তার দেখাতে গিয়েছিলাম, স্কুলে ছিলাম না। এরপরও কতিপয় ব্যক্তি আমাকে লাঞ্ছিত করেছেন। 

বাঘা থানার ওসি আবু সিদ্দিক বলেন, এ বিষয়ে শিক্ষার্থীর এক অভিভাবক বাদী হয়ে অভিযোগ দেওয়ার পর অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে স্কুলে গিয়ে শিক্ষকের বিচারের আশ্বাস দিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়।