পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বিএনপি অফিসে হামলা, ভাঙচুর, নেতাকর্মীদের মারধর ও লুটপাটের অভিযোগে সাবেক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমানসহ ৫১ নেতাকর্মীর নামে থানায় মামলা হয়েছে। 

১৮ আগস্ট রাতে কলাপাড়া উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর বিশ্বাস শফিকুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন।

মামলায় সাবেক প্রতিমন্ত্রী ছাড়াও কলাপাড়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান এসএম রাকিবুল আহসান, পৌরসভার মেয়র বিপুল চন্দ্র হাওলাদার, পৌর শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দিদার উদ্দিন আহমেদ মাসুম, কলাপাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোতালেব তালুকদার, ভাইস চেয়ারম্যান ও দপ্তর সম্পাদক ইউসুফ আলী, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম, টিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ মশিউর রহমান, চকামইয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর, সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য আসলাম, পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান, শ্রমিক লীগের সভাপতি স্বপন হাওলাদার, পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কালাম সরদার, ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মাহবুবুর রহমান, বালিয়াতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবিএম হুমায়ুন কবীর, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অমি গাজীসহ ৫১ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাত ১০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। 

মামলায় বলা হয়, গত বছরের ৩০ আগস্ট উপজেলা বিএনপির নতুনবাজার এলাকার দলীয় কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর চালানো হয়। সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা দলীয় কার্যালয়ে ঢুকে বিএনপি নেতাদের এলোপাতাড়ি মারধর ও ভাংচুর করে। বিএনপি নেতারা বাঁচার জন্য ডাক-চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এ সময় আসামিরা দলীয় কার্যালয়ের সামনে ও ভেতরে ককটেল ও বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে দলের কার্যালয়ের ভিতর থাকা নেতারা ও আশপাশের লোকজন আতঙ্কিত হয়ে জীবন রক্ষার জন্য দৌড়ে প্রাণ রক্ষা করেন। 

এজাহারে বলা হয়, মামলার বাদী কলাপাড়া থানায় খবর দিলে থানা কর্তৃপক্ষ ওই সময় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে চলে যায় কোনো আইনি পদক্ষেপ ছাড়াই।  

কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলী আহমেদ জানান, মামলা করার পর পুলিশ আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে। এ ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার করা হবে। গত ৫ আগস্টের পর মামলার এজারভুক্ত আসামিরা আত্মগোপনে চলে যাওয়ায় তাদের সঙ্গে কথা বলা যায়নি।