চট্টগ্রাম চেম্বার মুক্ত করার দাবিতে ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ
চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ: ১৮ আগস্ট ২০২৪, ০৯:৪০ পিএম
চট্টগ্রাম চেম্বারকে ‘স্বৈরশাসন’ ও ‘পরিবারতন্ত্র’ থেকে মুক্ত করার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন সাধারণ ব্যবসায়ীরা। রোববার সকাল ১০টায় নগরীর আগ্রাবাদের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের সামনে বৈষম্যের শিকার ব্যবসায়ীরা এ সমাবেশ করেন।
সমাবেশে চট্টগ্রাম চেম্বারের চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও ব্যানার নিয়ে অংশ নেন। এ সময় তারা চেম্বারে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে কমিটি গঠনের দাবি জানান।
এর আগে চট্টগ্রাম চেম্বারের ভোটবিহীন অবৈধ কমিটির পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, চট্টগ্রাম চেম্বার কোনো পারিবারিক প্রতিষ্ঠান নয়; কিন্তু বিগত কমিটিগুলো এটিকে পারিবারিক সংগঠন বানিয়ে ফেলেছে। ব্যবসায়ী সংগঠনে ব্যবসায়ীদের সুযোগ না দিয়ে ছেলে-মেয়ে-জামাতাদের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। আসল ব্যবসায়ীরা সুযোগ পাননি। ঐতিহ্যবাহী চিটাগাং চেম্বার অব কমার্সকে ১৭ বছর ধরে স্বৈরশাসনের আজ্ঞাবহ করে রাখা হয়েছে। স্বৈরশাসন ও পরিবারতন্ত্র দিয়ে সাধারণ ব্যবসায়ীদের ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে। আমরা চাই, ব্যবসাবান্ধব চিটাগাং চেম্বারের ভূমিকা নিশ্চিত করতে নতুন কমিটি গঠন করা হোক। এ কারণে বর্তমান পরিচালনা পর্ষদকে পদত্যাগ করতে হবে।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (সিসিসিআই) বর্তমান সভাপতি ওমর হাজ্জাজ। তিনি চট্টগ্রাম-১১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এমএ লতিফের তৃতীয় সন্তান। ওমর হাজ্জাজ ২০১৭-১৯ সাল মেয়াদে প্রথমে বিনা ভোটে পরিচালক হন। এরপর ২০১৯-২১ মেয়াদে একইভাবে জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি হন। একবার বিরতি দিয়ে এবারের কমিটিতে তিনি সভাপতি হয়েছেন। এছাড়া রাইসা মাহবুব রয়েছেন সহ-সভাপতি হিসেবে। তিনি চেম্বারের সাবেক সভাপতি ও এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলমের দ্বিতীয় সন্তান।
সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম চেম্বারে সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছে গত বছরের আগস্টের শুরুতে। তবে তাতে ভোট হয়নি। প্রথমে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় পরিচালকেরা নির্বাচিত হয়েছেন, এরপর তারা সভাপতি নির্বাচিত করেছেন। এ নিয়ে টানা পাঁচবার ভোটের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ক্ষমতার পালাবদলের পরই এ নিয়ে দাবি তুলেছেন সাধারণ ব্যবসায়ীরা।
সমাবেশে চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বলেন, পরিবারতন্ত্রের কারণে তাদের চাকরি কেড়ে নেওয়া হয়েছে। বিএনপি-জামায়াত ট্যাগ দিয়ে অনেককে বিনা কারণে চেম্বার থেকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। অবিলম্বে তাদের চাকরি ফিরিয়ে দিতে হবে।
এতে বক্তব্য দেন- বিজিএমইএর সহ-সভাপতি রকিবুল আলম চৌধুরী, চেম্বারের পরিচালক জহিরুল ইসলাম চৌধুরী, বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিকেল ইমপোর্টার্স অ্যান্ড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বারভিডা) সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান, চেম্বারের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি এসএম নুরুল হক, আবদুল মান্নান রানা, মাহবুব রানা প্রমুখ।