ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পদত্যাগের ১৪ দিন পর রোববার গাজীপুর জেলা পরিষদে হামলার ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা জেলা পরিষদে ভাঙচুর ও ফাইলপত্র পুড়িয়ে দেয়।
এ সময় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও কেন্দ্রীয় কৃষক লীগ নেতা মোতাহার হোসেন মোল্ল্যাসহ পরিষদের কয়েক সদস্যকে ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে নিজেকে আত্মরক্ষা করেন।
এ ঘটনার কিছুক্ষণ পর জেলা পরিষদের সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান আরিফের স্বাক্ষরিত একটি পদত্যাগপত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। সংবাদ পাওয়া গেছে, জেলা পরিষদে পেয়ে হামলাকারীরা জোড়পূর্বক তাকে দিয়ে ওই পদত্যাগপত্র লেখান। এ বিষয়ে জানতে আনিসুর রহমান আরিফের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
অপরদিকে গত ৫ আগস্ট মহানগর যুবলীগের আহবায়ক কামরুল আহসান রাসেলসহ আওয়ামী লীগ যুবলীগের অনেক নেতার বাড়িতে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।
৭ আগস্ট মহানগরের কাশিমপুর এলাকার মৃত এমএ হালিমের বাড়ি ও মার্কেটে হামলা করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় তারা ব্যাপক ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করে। ওই সময় লোকজন তাড়াহুড়া করে পালানোর সময় কয়েকজন আহত হন।
বাড়ির কেয়ারটেকার আবুল খায়ের জানান, হামলাকারীরা বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও গ্যারেজে থাকা দুটি গাড়ি ভাংচুর করে। বাড়ির নিচতলায় থাকা একটি এজেন্ট ব্যাংকে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং নগদ অর্থ লুট করে নিয়ে যায়।
বাড়ির মালিক নূরুন্নাহার বলেন, কোটি কোটি টাকা খরচ করে ও লোন নিয়ে মার্কেট এবং বাড়ি নির্মাণ করেছি। সময়মতো কিস্তি না দিতে পারলে মহাবিপদে পড়ে যাব। তিনি এলাকাবাসী ও প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।