সীমান্ত নদী জাদুকাটার তীর কেটে বালু লুটের অভিযোগ পাওয়া পাওয়া গেছে। ওই বালু লুটে পুলিশের এক এএসআই জড়িত রয়েছেন বলে এলাকার মানুষজন অভিযোগ করেন। তিনি প্রতি ঘনফুট বালুর বিপরীতে ৪ টাকা হারে টাকা আদায় করছেন বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন।

রোববার উপজেলার রাজারগাঁও, জাঙ্গালহাটি ছড়ারপাড় গ্রামের একাধিক বাসিন্দা জানান, উপজেলার ছড়ারপাড় গ্রামসংলগ্ন সীমান্ত নদী জাদুকাটার তীরে থাকা কয়েক একর খাসভূমি নিজেদের মালিকানা দাবি করে কয়েকজন ব্যবসায়ীদের বালু উত্তোলনের সুযোগ দিচ্ছেন। ৮-১০ দিন ধরে নদীর তীর কেটে কয়েক লাখ ঘনফুট বালু বিক্রি করে যাচ্ছে বালুখেকো চক্রের সদস্যরা।

এসব সরকারি খাসভূমির মালিকানা দাবি করে বালু উত্তোলনে সহযোগিতা করেন ছড়ারপাড় গ্রামের জামাল, নয়ন, শাহেন শাহ, সাদ্দাম রতন, হাদিসসহ কয়েকজন।

রোববার উপজেলার ছড়ারপাড় গ্রামের ইছু মিয়ার ছেলে জামাল মিয়ার কাছে নদীর তীর কেটে বালু বিক্রির প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের জমি থেকে আমরা বালু বিক্রি করছি।

এলাকার ভুক্তভোগী মানুষজন অভিযোগ করেন, জাদুকাটা নদীর তীর কেটে বালু বিক্রির কাজে গোপনে সহায়তা করে যাচ্ছেন থানার বাদাঘাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই বাচ্চু।

অভিযোগ উঠেছে, ওই এএসআই গোপনে জমির মালিক ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নদীর তীর কেটে নেওয়া প্রতি ঘনফুট বালুর বিপরীতে ৪ টাকা হারে টাকা আদায় করছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে তাহিরপুর থানাধীন বাদাঘাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই বাচ্চু বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা। আমি চেষ্টা করি নদীর তীর কেটে বালু উত্তোলন কাজ বন্ধ রাখতে।