পাগলা মসজিদে এবার মিলল ৭ কোটি ২২ লাখ টাকা
কিশোরগঞ্জ ব্যুরো
প্রকাশ: ১৭ আগস্ট ২০২৪, ০৯:৪৯ পিএম
ছবি: যুগান্তর
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের ৯টি দানবাক্সে এবার মিলেছে ৭ কোটি ২২ লাখ ১৩ হাজার ৪৬ টাকা। ৩ মাস ২৭ দিন পর শনিবার সকালে এসব দানবাক্স খোলার পর মিলেছে স্বর্ণ-রৌপ্যালংকারসহ মনস্কামনা পূরণের অসংখ্য চিঠিও।
দানবাক্সগুলো খোলার সময় কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ এবং ঘাটাইল সেনানিবাসের ১৯ আর্টিলারি ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তরিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
শনিবার সকাল থেকে টাকা গোনা শুরু করে সেটা শেষ হয় সন্ধ্যা ৭টার দিকে। ৯টি দানবাক্সের ২৮ বস্তা টাকা গণনার পর মোট ৭ কোটি ২২ লাখ ১৩ হাজার ৪৬ টাকা পাওয়া গেছে। রূপালী ব্যাংকের পরিচালক, ডিজিএম এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ মসজিদ মাদ্রাসা ও এতিমখানার দুই শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী এ টাকা গণনার কাজে অংশ নিয়েছেন। এর আগে ২০ এপ্রিল মসজিদের দানবাক্স খুলে রেকর্ড ৭ কোটি ৭৮ লাখ ৬৭ হাজার ৫৩৭ টাকা পাওয়া গিয়েছিল।
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ যুগান্তরকে জানান, মসজিদের স্থানে আন্তর্জাতিক মানের দৃষ্টিনন্দন ইসলামিক কমপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ‘পাগলা মসজিদ ইসলামিক কমপ্লেক্স’ নামে দ্রুতই এর কাজ শুরু হবে। এর প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৫ কোটি টাকা। সেখানে ৩০ হাজার মুসলি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন। এ ছাড়াও এসব টাকা বিভিন্ন মসজিদ-মাদ্রাসা, এতিমখানার উন্নয়নের পাশাপাশি আর্তমানবতার সেবায় ব্যয় করা হয়।
জনশ্রুতি রয়েছে, শহরের হয়বতনগর জমিদার বাড়ির পূর্বপুরুষ মসনদে আলা বীর ঈশা খাঁর বংশে জিল কদর খান নামের এক আধ্যাত্মিক পাগল সাধকের বাস ছিল কিশোরগঞ্জ শহরের হারুয়া ও রাখুয়াইল এলাকার মাঝপথে প্রবাহিত নরসুন্দা নদের মধ্যবর্তী স্থানে জেগে ওঠা উঁচু টিলাকৃতির স্থানে।
মুসলিম ও হিন্দু-নির্বিশেষে সব লোকজনের যাতায়াত ছিল ওই সাধকের আস্তানায়। ওই পাগল সাধকের দেহাবসানের পর তার উপাসনালয়কে কামেল পাগল পিরের মসজিদ হিসাবে ব্যবহার শুরু করেন এলাকাবাসী।