বগুড়ায় সাব্বির হত্যাকাণ্ড
সাবেক এমপি সাহাদারা মান্নানসহ ৪০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
![Icon](https://cdn.jugantor.com/uploads/settings/icon_2.jpg)
বগুড়া ব্যুরো
প্রকাশ: ১৬ আগস্ট ২০২৪, ১০:২৭ পিএম
![সাবেক এমপি সাহাদারা মান্নানসহ ৪০ জনের বিরুদ্ধে মামলা](https://cdn.jugantor.com/assets/news_photos/2024/08/16/image-838811-1723825599.jpg)
বগুড়ার সোনাতলায় বিজয় মিছিলে নবম শ্রেণির স্কুলছাত্র সাব্বির হাসানকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগে ২০ জনের নাম উল্লেখ করে ৪০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। নিহতের বাবা শাহীন আলম বৃহস্পতিবার রাতে সোনাতলা থানায় এ মামলা করেন।
এজাহারে বগুড়া-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নান, তার ছেলে সারিয়াকান্দি উপজেলা চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন সজল ও ভাই সোনাতলা উপজেলা চেয়ারম্যান এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট মিনহাদুজ্জামান লীটনকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
সোনাতলা থানার ওসি বাবু কুমার সাহা জানান, তদন্ত সাপেক্ষে আসামিদের গ্রেফতার করা হবে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন-সোনাতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নবীন আনোয়ার কমরেড, দিগদাইড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নিরাঞ্জন চন্দ্র রায়, সাধারণ সম্পাদক মাহফুজ আলম সোহেল, দিগদাইড় ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক আরিফুর রহমান পলাশ, সোনাতলা ঘোড়াপীড় এলাকার ডা.ওসমান আলীর ছেলে মিনহাজুল ইসলাম ছাড়াও গাবতলী উপজেলার বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ ও দেশত্যাগের পর সোনাতলা উপজেলার সৈয়দ আহম্মদ কলেজ স্টেশন এলাকায় বিজয় মিছিল বের করা হয়। আন্দোলনকারী ও দুর্বৃত্তদের মাঝে ধাওয়া-পালটা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
দুর্বৃত্তরা স্থানীয় পার্বতী সেমি অটো রাইস প্রসেসিং সর্টার মিলে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর, লুট-পাট ও অগ্নিসংযোগ করে। তখন দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পালটা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটলে সাব্বির হাসান নিহত হন।
সে পাশ্ববর্তী গাবতলী উপজেলার তেলিহাটা গ্রামের শাহীন আলমের ছেলে ও সুখানপুকুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ভোকেশনাল শাখার নবম শ্রেণির ছাত্র। স্বজনরা লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করেন।
এ প্রসঙ্গে সোনাতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আনোয়ার বাদশা জানান, ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ ও দেশত্যাগের পর আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মীর বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের নতুন বাংলো পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এ সময় দলীয় নেতাকর্মীরা এলাকা ছাড়া হন; তাই ১৭ কিলোমিটার দূরের ওই হত্যার সঙ্গে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এ মামলায় আসামি করা হয়েছে।
দিগদাইড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নিরাঞ্জন চন্দ্র রায় বলেন, নিহত সাব্বির হাসান তার রাইস মিলে লুটপাটের জন্য এলে জনতার প্রতিরোধের মুখে পড়ে সে নিহত হয়।
বাদীর উদ্ধৃতি দিয়ে সোনাতলা থানার ওসি বাবু কুমার সাহা জানান, গত ৫ আগস্ট বিজয় মিছিল চলাকালে আসামিরা স্কুলছাত্র সাব্বির হাসানকে বার্মিজ চাকুর আঘাতে হত্যা করে। এ ব্যাপারে কেউ পুলিশকে অবহিত করেনি। বাদীর মামলা তদন্ত করে আসামিদের গ্রেফতার করা হবে।