পায়ে রাইফেল ঠেকিয়ে গুলি করে পুলিশ, রাকিবের চিকিৎসায় হিমশিম খাচ্ছে পরিবার
দৌলতপুর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি:
প্রকাশ: ১৪ আগস্ট ২০২৪, ০৯:৫৪ পিএম
ছবি: যুগান্তর
গত ৫ আগস্ট সাভারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে পায়ে গুলিবিদ্ধ হয় দশম শ্রেনীর শিক্ষার্থী রাকিব। রাকিবের চিকিৎসা করাতে দরিদ্র বাবা আর পেরে উঠছে না।
রাকিবের বাড়ি মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার কান্দাপাড়া গ্রামে। রাকিব জেলার ঘিওরের ডিএন উচ্চ বিদ্যালয়ের কারিগরী (ভোকেশনাল) বিভাগের ছাত্র।
রাকিবের সাঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তিন ভাই বোনের মধ্যে রাকিব মেঝ। অর্থের অভাবে তার বড় ভাইকেও পড়াশুনা করাতে পারেনি তার পরিবার। রাকিব পড়াশুনার পাশাপাশি সাভারে কলকারখানায় কাজ করে সংসার চালায়। ওর বাবাও একটি ডালের মিলের শ্রমিকের কাজ করে।
গত ৫ আগস্ট রাকিব তার পরিবারের কাউকে না জানিয়ে তার বন্ধুদের সঙ্গে ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেন। সকাল ১০ টার দিকে তাদের মিছিল কারফিউ উপেক্ষা করে সাভারের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাভার মডেল থানার সামনে গেলে পুলিশ ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশ রাকিবের মাথায় রাইফেল দিয়ে আঘাত করলে সে মাটিতে পড়ে যায়। তখন তার ‘পায়ে রাইফেল ঠেকিয়ে গুলি করে পুলিশ’। তখন রাকিবকে দ্রুত সাভার এনাম মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে সাভারের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা নেয় রাকিব।
রাকিরেব মা অশ্রুসিক্তভাবে বলেন, পুলিশে আমার ছেলের মাথা ফাটিয়েছে, পায়ে গুলি করছে। অনেক রক্ত ঝরাইছে আমার ছেলের। আমার ছেলে যদি না বাঁচত আমি কি করতাম। আমার ছেলের চিকিৎসা করতে পারছি না। আমরা গরীব মানুষ। আমি এর বিচার চাই।