চকরিয়ায় সরকারি বনভূমি জবরদখলের চেষ্টা
চকোরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৪ আগস্ট ২০২৪, ০৪:০১ পিএম
চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের চকরিয়ার বরইতলী বনবিটের সরকারি বনভূমি দখলের অপচেষ্টা চালাচ্ছে দূর্বৃত্তরা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরকার পতনের পরদিন থেকে দফায় দফায় এ অপচেষ্টা চালিয়েছে বলে বনবিভাগ সূত্রে জানা গেছে। বনবিভাগের লোকজন ও ভিলেজার এ অপচেষ্টা প্রতিরোধ করতে হিমসিম খাচ্ছে।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের চুনতি রেঞ্জের অধীন চকরিয়ার বরইতলী বনবিটের মহাসড়ক লাগোয়া প্রাচীন মাদারটি (গর্জন গাছ) বাগানের ভেতরে বেশকিছু বেত বাগান রয়েছে। এই বেত বাগান বনবিভাগের নিজস্ব অর্থায়নে সৃজন করা হয়। এই বাগানসহ আশেপাশের বেশ কিছু বাগান জবরদখল করে ঘরবাড়ি তৈরির হিড়িক পড়েছে।
বরইতলী বনবিট কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, সম্প্রতি সরকারের পটপরিবর্তনের পরদিন থেকে বরইতলী এলাকার কিছু দূর্বৃত্ত দফায় দফায় এই বনবিভাগের বেতবাগান পরিস্কার করতে আসে। পরে বনবিভাগের লোকজন ও ভিলেজারসহ ঘটনাস্থলে গেলে দূর্বৃত্তরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর গত ৬ আগস্ট, ১১ আগস্ট ও ১৩ আগস্টে দফায় দফায় বনভূমি জবরদখলের চেষ্টা করেন স্থানীয় কিছু উচ্ছৃঙ্খল লোকজন। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বরইতলী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মঈনুল আমিন ইমু জানান, স্থানীয় উচ্ছৃঙ্খল শ্রেণির কিছু লোকজন দলীয় পরিচয়ে সরকারি বনভূমিতে জঙ্গল পরিস্কারের কথা শুনে তাদের সাবধান করা হয়েছে। দলীয় পরিচয়ে কেউ যদি জবরদখলে লিপ্ত হয়, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হবে বলে জানান তিনি।
রেঞ্জ কর্মকর্তা সৈয়দ আবু জাকারিয়া বলেন, সংরক্ষিত বনভূমিতে কিছু লোকজন জবরদখলের চেষ্টা করলে তাদের প্রতিহত করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।