‘শাহরাস্তি পৌরসভায় চালের গুদামের সন্ধান’ শিরোনামে  দৈনিক যুগান্তর সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নেমেছে উপজেলা প্রশাসন। গত সোমবার দুপুরে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. সবুজ চাল কেলেঙ্কারির এ ঘটনা তদন্তে আসেন। 

শাহরাস্তি পৌরসভা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ঈদুল আজহায় দুস্থদের খাদ্য সহায়তা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে পৌরসভায় ৪৬ মে.টন চালের বরাদ্দ আসে। সেখান থেকে বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের দেওয়া তালিকার বাইরে পৌর মেয়র হাজী আবদুল লতিফ ২৪৪ জন দুস্থ ও অসহায়ের নামের তালিকার বিপরীতে ২ হাজার ৪৪০ কেজি চাল নিজে বরাদ্দ নেন। ওই চালের মধ্য থেকে ২২টি বস্তায় ৬৬০ কেজি চাল পৌরসভার একটি কক্ষে তালাবদ্ধ অবস্থায় পাওয়া গেছে। 

সম্প্রতি পৌর ভবনের পশ্চিম পাশের জানালা দিয়ে মজুদকৃত ওই চালের বস্তা দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন সাংবাদিকদের খবর দেন। 

এ বিষয়ে আবারও বক্তব্য জানতে সোমবার দুপুরে পৌর মেয়র হাজী আবদুল লতিফের কার্যালয়ে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। মোবাইলফোনে চেষ্টা করেও সংযোগ পাওয়া যায়নি। 

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. সবুজ জানান, পৌরসভার তালাবদ্ধ ওই কক্ষে ভিজিএফর ২২ বস্তা চাল পাওয়া গেছে। গত ঈদুল আজহার আগে এসব চাল দুস্থ ও অসহায়ের মাঝে বিতরণ করার নির্দেশনা থাকলেও মজদকৃত চালগুলো বিতরণ না করে এই কক্ষে রাখা হয়েছে। 

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, এটি অবশ্যই অনিয়ম হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিবেন।