Logo
Logo
×

সারাদেশ

সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী ইপিজেডে আন্দোলন, মেইন গেট বন্ধ

Icon

সিদ্ধিরগঞ্জ দক্ষিণ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১১ আগস্ট ২০২৪, ০৪:০৬ পিএম

সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী ইপিজেডে আন্দোলন, মেইন গেট বন্ধ

সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী ইপিজেডে চাকরিতে বৈষম্যের অভিযোগ এনে চাকরিপ্রত্যাশীরা আন্দোলন করছেন। এতে রপ্তানিমুখী শিল্পাঞ্চল ইপিজেডের মেইন গেট বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে ইপিজেডের যাতায়াত কার্যক্রম বন্ধ আছে। একপর্যায়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। 

রোববার সকাল থেকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শিমরাইল-আদমজী-চাষাঢ়া সড়কের আদমজী ইপিজেডের গেটের সামনে আন্দোলন করে যাচ্ছেন।

সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, প্রায় চারশর মতো চাকরিপ্রত্যাশী মানুষ একত্রিত হয়ে বিক্ষোভ করছেন। তাদের অভিযোগ— চাকরির ক্ষেত্রে ছেলেদের অবমূল্যায়ন করা হয়, আর মেয়েদের চাকরি দেওয়া হয়। এই অভিযোগ দীর্ঘদিনের। আজ কয়েকজন ছেলে চাকরির জন্য ইপিজেডে প্রবেশ করলে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ তাদের।

এদিকে পরিস্থিতি সামলাতে সেনাবাহিনী সদস্যরা উপস্থিত হয়েছেন। তারা আন্দোলনকারীদের বুঝিয়ে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।

রক্তাক্ত অবস্থায় একজন যুবকের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, আজ চাকরির জন্য তারা ৫ জন ইপিজেডের ভেতরে প্রবেশ করেন। পরে তারা ই-স্টার নামক ফ্যাক্টরিতে গেলে তাদের আটকানো হয় এবং নিজেদের ছাত্র পরিচয় দিলেই তাদের মারধর করা হয়। আহত যুবক আরও বলেন, আমরা যখন ছাত্রদের পরিচয় দিই, এতে আরও বেশি ক্ষিপ্ত হন হামলাকারীরা।

আপনারা মিছিল নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করেছেন কিনা? এমন প্রশ্নে ওই যুবক বলেন, আমরা চাকরির জন্য মিছিল করেছি।

যুবকদের ওপর হামলা সত্যতা জানতে আদমজী ইপিজেডস্থ ই-স্টার নামক ফ্যাক্টরির অ্যাকাউন্টস অফিসার দীপঙ্করের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা কারও ওপর হামলা করিনি; বরং আন্দোলনকারীরা আমাদের ফ্যাক্টরির ওপর হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে। আমাদের ফ্যাক্টরির ক্ষতি হয়েছে অনেক। 

এ বিষয়ে আদমজী ইপিজেডের (জিএম) মাহবুব আহমেদ সিদ্দিক বলেন, আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা করা হয়নি, তারা উলটো ভেতরে প্রবেশ করে কয়েকটি ফ্যাক্টরিতে ইটপাটকেল মেরেছে। এরপর ফ্যাক্টরির কর্মকর্তারা তাদের আটকানোর চেষ্টা করেন। 

চাকরির ক্ষেত্রে ছেলেদের অবমূল্যায়নের প্রশ্নে তিনি জানান, এখানকার বেশিরভাগ কারখানায় মেয়েদের কাজ বেশি হয়ে থাকে। এ জন্য মেয়েদের সংখ্যা বেশি। তবে আমি নিজেও তাদের বুঝিয়েছি। বলেছি— আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম