Logo
Logo
×

সারাদেশ

আতঙ্কে নয়, পূজায় অংশ নিতে সীমান্ত পার হয়েছিলেন ৭ সনাতন ধর্মাবলম্বী

Icon

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১১ আগস্ট ২০২৪, ০৪:০২ পিএম

আতঙ্কে নয়, পূজায় অংশ নিতে সীমান্ত পার হয়েছিলেন ৭ সনাতন ধর্মাবলম্বী

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে ৭ জন সনাতন ধর্মাবলম্বী আতঙ্কে নয়, পূজায় অংশ নিতে সীমান্ত পার হয়ে ভারতের অভ্যন্তরে আত্মীয়র বাড়িতে যান। এ সময় সেখানে বিএসএফের হাতে আটক হন তারা। পরে বিএসএফ তাদের বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সকালে জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার কেদার ইউনিয়নের সিপেরহাট সীমান্তে। 

বিজিবি ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কেদার ইউনিয়নের টেপার কুটি গ্রামের ধর্মেস্বর বিশ্বাসের ছেলে নিখিল চন্দ্র বিশ্বাস (৫০), ভারত চন্দ্র রায়ের ছেলে মানিক চন্দ্র রায় (৪৫), সন্তোস চন্দ্র বিশ্বাসের ছেলে মনমোহন চন্দ্র বিশ্বাস (৪৬), সুবল চন্দ্র বিশ্বাস (৪০), দয়া বিশ্বাস (৩৫) এবং একই ইউনিয়নের ঢলুয়াবাড়ি গ্রামের অমল বিশ্বাসের ছেলে নিপুল বিশ্বাস (৩৬) ও বিপুল বিশ্বাস (৩২) শনিবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে কেদার সীমান্তের শিপের হাট এলাকা দিয়ে ভারতের আসাম রাজ্যের ধুবরী জেলার গোলকগঞ্জ থানার কাটাতারের বাইরে থাকা ভোগডাঙ্গা গ্রামে প্রবেশ করে। এ সময় ভারতের কেদার আড্ডা বিওপির বিএসএফ সদস্যরা তাদেরকে আটক করে। পরে তাদের বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে কুড়িগ্রাম-২২ বিজিবি সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করে। এদিকে তাদের আটকের খবর মূহুর্তের মধ্যে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ছড়িয়ে পড়ে। চাউড় হতে থাকে আতঙ্কে ওই ৭ জন ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। 

ফিরে আসা নিখিল চন্দ্র জানান, সকালে ৭ জন মিলে ভাসান পূজায় অংশ নিতে ভারতের ভোগডাঙ্গায় যান তারা। এর মধ্যে মানিক চন্দ্র রায় একজন ঢোল বাদক। পূজা শেষে ওখানকার মেম্বারের বাড়িতে বেড়াতে যান তারা। এসময় তাদেরকে বিএসএফ আটক করে। পরে বিকালে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদের বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে। বিজিবি তাদের বাড়িতে এনে পৌছে দেয়। আতঙ্কে দেশ ছাড়ার কথা সত্য নয়। এরকম কোন ঘটনা আমাদের গ্রামে ঘটে নাই। আমরা শান্তি পূর্ণভাবে বসবাস করছি। 

কুড়িগ্রাম ২২ বিজিবির কেদার কোম্পানির নায়েব সুবেদার আব্দুল খালেক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে বিএসএফের হাতে আটক ৭ জনকে আমাদের নিকট হস্তান্তর করেছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গেছে, আতঙ্কে নয় সীমান্তের ওপারে আত্মীয়র বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন তারা। পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম