অন্তর্বর্তী সরকারকে হুঁশিয়ারি দিলেন কাদের সিদ্দিকী
![Icon](https://cdn.jugantor.com/uploads/settings/icon_2.jpg)
যুগান্তর প্রতিবেদন, টাঙ্গাইল
প্রকাশ: ১১ আগস্ট ২০২৪, ০৪:০২ পিএম
![অন্তর্বর্তী সরকারকে হুঁশিয়ারি দিলেন কাদের সিদ্দিকী](https://cdn.jugantor.com/assets/news_photos/2024/08/11/image-836623-1723370506.jpg)
কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম বিজয়ী ছাত্র-জনতাকে উল্লেখ করে বলেন, একটা বিজয়, আরেকটা পরাজয়ের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। একটা পরাজয় বিজয়ের প্রথম ধাপ। সেই জন্য যারা বিজয় অর্জন করেছেন, তাদের মানুষের আস্থা অর্জন করতে হবে। মানুষের বিশ্বাস অর্জন করতে হবে। মানুষকে এই দোজখের হাত থেকে বাঁচাতে হবে। আমি অভিনন্দন জানাই, কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে যে ছাত্র ও যুবকরা এই মহান বিজয় এনেছেন, তাদের এবং তাদেরকে বিজয়কে অভিনন্দন জানাই।
শনিবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইলের সন্তোষের টাঙ্গাইলে মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর মাজার জিয়ারত শেষে তিনি এ কথা বলেন। বর্তমান সরকারকে অভিনন্দন জানিয়ে বঙ্গবীর বলেন, বর্তমান সরকারকে হুঁশিয়ারিও দিতে চাই। অতীতের সরকাররা যেভাবে করেছে। বর্তমান সরকাররা সেভাবে করলে তাদেরও ভবিষ্যৎ অন্ধকার হবে। তাদের ভবিষ্যৎ কোনোভাবে আলোকিত হতে পারে না। সাধারণ মানুষের যানমালের নিরাপত্তা দিতে হবে। পুলিশ তো আজকে থানায় নাই, ঘরে বসে আছে। পুলিশদেরও বলবো তোমরা থানায় যাও। এতো বীর হয়েছিলে এক সময় অন্যায় হুকুম মানার জন্য। আজকের আইনের বাইরে তোমরা পা ফেলবে না। আইন মতো চললে তোমাদের কেউ কিছু বললে, আমরা তোমাদের পাশে আছি। এদেশের জনগন তোমাদের পাশে আছে।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, যারা শহিদ হয়েছেন, তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। তাদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করি। দেশে কোন রকম ভাঙচুর, কোনো রকম অগ্নিসংযোগ আর যেন কেউ না করে। কমলমতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে যারা শত্রুতা সাধন করবে, শত্রুতা সাধনের চেষ্টা করবে তাদের ভবিষ্যত ভালো হবে না।
তিনি বলেন, আজকে দেশ জ্বলছে। ১৯৭১ সালে আমরা যে বিজয় এনেছিলাম, আজকের ছাত্র, আজকের যুবক সেই বিজয় এনেছে। আজকে দেশের মানুষ যে ভাবে অবহেলিত হয়েছে, অসম্মানিত হয়েছে, তার বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে আজকের এই ক্ষোভ।
তিনি আরও বলেন, বেশ কিছুদিন পর আমি হুজুর মাওলানা ভাসানীর মাজারে এসেছি। এই জন্য মাজারে এসেছি, আগামী ১৬ আগস্ট আমি টুঙ্গিপাড়া বঙ্গবন্ধুর মাজারে যাব। বঙ্গবন্ধুর কবর জিয়ারত করতে যাব। আমি ঘোড়া ডেঙ্গিয়ে ঘাস খাওয়া পছন্দ করি না। আমি জানি হুজুর মাওলানা ভাসানী না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। হুজুর মাওলানা ভাসানী না হলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হতেন না। সেই জন্য আমি আগে হুজুর মাওলানা ভাসানীর কবর জিয়ারত করতে এসেছি। তার কাছে দোয়া চাইতে এসেছি। আমি আমার কথা বেশি বাড়াতে চাই না।
এ সময় সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী বলেন, আজও বাংলার গণমানুষের, অধিকার বঞ্চিত মানুষের, নিপীড়িত মানুষের অসহায় মানুষের কণ্ঠস্বর হিসেবে পরিচিত বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তমকে আমি সমর্থন করি। তার সঙ্গে আমি আমৃত্যু থাকব। কিন্তু কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আমি আর জীবনে সম্পৃক্ত হবো না, এটা মাওলানা ভাসানীর মাজারে দাঁড়িয়ে বললাম।
এ সময় বঙ্গবীরের ছোট ভাই কালিহাতী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল মনছুর আজাদ সিদ্দিকীসহ কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।