ফাইল ছবি
রাজশাহীর থানাগুলোতে পুলিশ ফিরতে শুরু করেছে। শনিবার সকাল থেকে জেলা ও মহানগরের বিভিন্ন থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা (ওসি) গিয়েছেন। লোকজন নিয়ে তারা ধ্বংসস্তুপ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করেছেন। ফাঁড়িগুলোও পরিষ্কার করার কাজ শুরু হয়েছে।
সকালে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) সদর দপ্তরে গিয়েছেন কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার। ৫ আগস্ট আরএমপি সদর দপ্তরও জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে লুটপাট করা হয়। পুলিশ কমিশনারের কক্ষে একটি টেবিল ছাড়া কিছুই ছিল না। পুলিশ কমিশনার আরএমপি সদর দপ্তরে গিয়ে কিছু সময় অতিবাহিত করেন এবং সব কিছু ঘুরে দেখেন।
আরএমপির মুখপাত্র অতিরিক্ত উপকমিশনার জামিরুল ইসলাম বলেন, আরএমপি সদর দপ্তরে এখনো বসার পরিবেশ নেই। আমরা পুলিশ লাইন্সে বসে কাজ করছি। থানাগুলোতে ওসিরা গেছেন। বসার মতো পরিবেশ করা মাত্রই অন্য পুলিশ সদস্যরা থানায় চলে যাবেন।
এদিকে কাজে যোগ দিয়ে পুলিশ সদস্যদের নিজেদের জনগণের সেবক প্রমাণ করার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার্স কল্যাণ সমিতির রাজশাহী শাখা। দুপুরে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানানো হয়।
লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের সদস্য ও গবেষক মাহবুব সিদ্দিকী বলেন, জনগণের প্রতি আমরা আকুল আবেদন রাখছি, আমাদের অতি প্রয়োজনীয় এ বাহিনী পুনর্গঠনে যেন ভ‚মিকা রাখি। আমরা পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের প্রতিও আহ্বান জানাচ্ছি-অতি দ্রুত আপনারা কাজে যোগদান করুন এবং দেশপ্রেম নিয়ে কাজ করে নিজেদের জনগণের সেবক হিসাবে প্রমাণ করুন।
তিনি বলেন, হাসিনা সরকার রাষ্ট্রের প্রায় সব প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণ করেছিল। জনগণের পুলিশ বাহিনীও এ থেকে রক্ষা পায়নি। পুলিশ বিভাগের কিছু উচ্চ পর্যায়ের সুবিধাবাদী কর্মকর্তা সরকারের পক্ষ নিয়ে জনগণের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে। ছাত্র-জনতার ওপর গুলিবর্ষণ করেছে। হাতেগোনা কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তার কারণে গোটা পুলিশ বিভাগের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়েছে। এ জন্য বিভিন্ন থানা, ফাঁড়িতে আক্রমণ হয়েছে।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে চার শতাধিক পুলিশ নিহত হয়েছে দাবি করে মাহবুব সিদ্দিকী বলেন, ক্ষোভ থেকে থানা-ফাঁড়িতে জনগণ পুলিশের ওপর আক্রমণ করেছে। এতে বিভিন্ন ইউনিটের পুলিশ সদস্যরা নিহত হয়েছেন। এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।