ক্ষেতলালে সংখ্যালঘুদের জানমাল ও মন্দির রক্ষায় ছাত্রদের পাহারা
ক্ষেতলাল (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১০ আগস্ট ২০২৪, ০৭:৩৪ পিএম
জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে সংখ্যালঘুদের জানমাল, বাড়ি-ঘর ও মন্দির রক্ষায় পাহারা ও টহলের ব্যবস্থা করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উপজেলা সমন্বয়ক ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
গত ৫ অক্টোবর শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে উৎসুক জনতার আনন্দ মিছিলের আড়ালে কিছু দুর্বৃত্তের আকস্মিক হামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ও তাদের কর্মী-সমর্থকদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং বাড়িঘরে বিচ্ছিন্ন কিছু হামলার ঘটনা ঘটে। তবে কারও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এসব ঘটনায় শংকিত হয়ে সংখ্যালঘুদের জানমালের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আরাফাত হোসেনের নেতৃত্বে উপজেলার সরকারি, বেসরকারি স্থাপনা ও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাড়ি-ঘর এবং মন্দির রক্ষায় পাহারা ও টহলের ব্যবস্থা করেন।
এতে যুক্ত রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সোহেল রানা, কুষ্টিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফারুক হোসেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রুহুল আমিন রাজু, দিনাজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ধনঞ্জয় কুমার, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রাবন রহমান, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রনিসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক, সাধারণ শিক্ষার্থী ও উপজেলার উজ্জ্বল নক্ষত্র ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবীরা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও স্থানীয় ছাত্রজনতা এবং রাজনৈতিক দলের নেতাদের হস্তক্ষেপে এ পর্যন্ত উপজেলার কোনো সরকারি, বেসরকারি স্থাপনা বা সংখ্যালঘুদের ওপর দুর্বৃত্তদের হামলার ঘটনা ঘটেনি বলে জানান শিক্ষার্থীরা।
ক্ষেতলাল উপজেলা বিএনপির সভাপতি খালেদুল মাছুদ আঞ্জুমান বলেন, ছাত্র আন্দোলনের কারণে পুলিশ প্রশাসন ভেঙে পড়ায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি হয়েছিল। এখন দেশে স্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আমাদের নেতাকর্মীরা সর্তক অবস্থায় জনগণের পাশে আছে। কোনো অপশক্তি যেন সংখ্যালঘু ও সাধারণ মানুষের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি করতে না পারে, সে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ঢাবি শিক্ষার্থী আরাফাত হোসেন যুগান্তরকে বলেন, এ দেশটা আমাদের। এ দেশের মানুষ ও তাদের সম্পদ রক্ষার দায়িত্বও আমাদের। আমরা রক্ত দিয়ে স্বৈরাচারী হাসিনার পতন করে দেশকে আবারও স্বাধীন করেছি। এ স্বাধীনতা রক্ষা করতে হবে। কোনো অপশক্তি যেন দেশের সম্পদ নষ্ট করতে না পারে বা সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন জুলুম করতে না পারে, সেজন্য আমরা টহল ও পাহারা দিচ্ছি। দেশ স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।