Logo
Logo
×

সারাদেশ

দিনাজপুরে থানায় ফিরছেন পুলিশ সদস্যরা

Icon

দিনাজপুর প্রতিনিধি 

প্রকাশ: ০৯ আগস্ট ২০২৪, ০৮:৫৪ পিএম

দিনাজপুরে থানায় ফিরছেন পুলিশ সদস্যরা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত কয়েক দিন দিনাজপুর জেলার ১৩টি থানা পুলিশ শূন্য থাকলেও শুক্রবার থেকে থানায় ফিরতে শুরু করেছেন পুলিশ সদস্যরা। নিজ কর্মস্থলে ফিরে দাপ্তরিক কাজ শুরুর পাশাপাশি স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরুর প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা। তবে কর্মস্থলে ফিরলেও এক ধরনের আতঙ্ক ও ভীতি বিরাজ করছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের কয়েকজন নিম্নপদস্থ সদস্য।

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ও শেখ হাসিনার দেশ ছাড়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে কিছু দুষ্কৃতকারী দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন থানায় ও পুলিশ সদস্যদের উপরে চড়াও হন। দুষ্কৃতকারীরা ৫ আগস্ট সন্ধ্যায় বোচাগঞ্জ থানায় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করা করেছেন। 
এছাড়াও বিরামপুর থানা চত্বর, বীরগঞ্জ থানা চত্বরে হেল্প ডেক্স, পুলিশের পিকআপভ্যান ও কয়েকটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়। 

দিনাজপুর মুন্সীপাড়া পুলিশ ফাঁড়িতে ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। হামলাকারীদের হাত থেকে নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে পুলিশ সদস্যরাও নিরাপদ স্থানে সরে যান। এসব ঘটনার ফলে দিনাজপুর জেলার ১৩টি বন্ধ থানা ছিল। থানাগুলো ছিল অরক্ষিত। পুলিশ ও সেবাপ্রার্থীরা উভয়েই অতিবাহিত করেছেন এক রুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতি। পুলিশ না থাকায় দিনাজপুরের বিভিন্ন স্থানে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, চাঁদাবাজি, ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা ঘটে। নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে সাধারণ মানুষ। 

এরই মধ্যে গত বৃহস্পতিবার পুলিশের মহাপরিদর্শক ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ সদস্যদের কর্মস্থলে যোগদানের আহবান জানান। এরপর থেকেই কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছেন পুলিশ সদস্যরা। 

শুক্রবার সকালে দিনাজপুর শহরের কোতোয়ালি থানা ঘুরে দেখা যায়, প্রধান ফটকে সেনাবাহিনী ও পুলিশের কয়েকজন সদস্য দায়িত্বপালন করছেন। হেল্পডেক্সে বসে দাপ্তরিক কাজ করছে ডিউটি অফিসারও। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যদের অন্তত ২০ জন সদস্যকে বিভিন্ন দাপ্তরিক কাজকর্ম করতে দেখা গেছে। 

কোতোয়ালি থানার ওসি ফরিদ হোসেন বলেন, চলমান সহিংসতার ঘটনায় যারা বাড়িতে গিয়েছিলেন কিংবা বিভিন্ন নিরাপদ স্থানে ছিলেন তাদের প্রায় সবাই গতকাল বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যেই কর্মস্থলে পৌঁছেছেন। দুই একজন পথে আছেন। 

দিনাজপুর পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ বলেন, পুলিশ সদস্যরা প্রায় সবাই উপস্থিত হয়েছেন। দু’একজন আছেন যাদের বাড়ি দূরে কিংবা ছুটিতে আছেন আশা রাখছি তারাও শুক্রবার বিকালের মধ্যে ফিরবেন। 
বৃহস্পতিবার রাতে প্রতিটি থানায় পৃথকভাবে বৈঠক করা হয়েছে। কর্মপরিকল্পনা প্রস্তুতের কাজ চলছে। তবে এই কয়েক দিন শুধুমাত্র দাপ্তরিক কাজকর্ম করা হবে। তদন্ত কার্যক্রম শুরু করতে আরও কয়েক দিন সময় লাগবে। 

দিনাজপুরের মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে পুলিশ সুপার বলেন, স্থানীয় মানুষ রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষায় অনেক ভূমিকা রেখেছেন। থানাগুলো পাহারা দিয়েছেন দুর্বৃত্তদের হাত থেকে রক্ষা করেছেন। মানুষের জানমালের রক্ষার কাজে পুলিশ এর প্রতিদান দেবেন- এমন প্রত্যাশা করেন পুলিশ সুপার।  

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম