Logo
Logo
×

সারাদেশ

যশোরে শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় একসঙ্গে কাজ করবে প্রশাসন ও রাজনৈতিক দল

Icon

যশোর ব্যুরো

প্রকাশ: ০৭ আগস্ট ২০২৪, ০৯:৩০ পিএম

যশোরে শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় একসঙ্গে কাজ করবে প্রশাসন ও রাজনৈতিক দল

যশোর জেলার শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রশাসন ও রাজনৈতিক দলগুলো একসঙ্গে কাজ করবে। পুলিশ তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু করবে। রাজনৈতিক দলগুলো তাদের সহযোগিতা করবে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সচেতনতা বাড়াতে মাইকিং করা হবে। মসজিদের মাইকেও ঘোষণা দেওয়া হবে সহিংসতা পরিহার করার জন্য। 

বুধবার যশোরের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষায় বিশেষ মতবিনিময় সভায় বক্তারা এমনটাই মত দিয়েছেন। এদিন সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদারের সভাপতিত্বে ১৪ দলীয় জোট বাদে সর্বদলীয় নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় হয়। 

এ সময় বক্তব্য দেন- প্রশাসনের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, সাংবাদিক, আইনজীবীরা।

মতবিনিময় সভায় বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, আমরা গত ১৭ বছর গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের জন্য লড়াই করেছি। আমরা একটি বৈষম্যহীন সমাজের কথা বলেছি। স্বাধীন গণমাধ্যম, বাক স্বাধীন ও ভোটাধিকারের কথা বলেছি। আইনের শাসন, মানবাধিকারের কথা বলেছি। আমরাই বলেছিলাম। আপনারা বলতে সাহস পাননি। সেটার বাস্তবায়ন ঘটেছে ছাত্রদের আন্দোলন এবং আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে। 

হোটেল জাবিরে অগ্নিকাণ্ড ও প্রাণহানির ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, হতাহতদের উদ্ধারে আমরা তৎপর ছিলাম। আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা নিশ্চিত করেছি।

সেনাবাহিনীর ১৪ বীর অধিনায়ক ও যশোরের দায়িত্বপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোস্তফা বলেন, পুলিশ আজ থেকে তাদের কাজ শুরু করবে। এজন্য সব রাজনৈতিক দলের সহযোগিতা প্রয়োজন। পুলিশ কাজ শুরু করলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ছাত্র সমাজ, জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের সমন্বয়ে প্রত্যেক উপজেলায় কমিটি গঠন করা যেতে পারে। কমিউনিটি পুলিশিং টহল দিতে হবে।

পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, আমাদের কৃতকর্মের ফল আমরা পেয়েছি। সমাজের অংশীজনের কাছে আমাদের আস্থা নেই; কিন্তু বাস্তবতা হলো পুলিশ ছাড়া সমাজের শৃঙ্খলা আনা সম্ভব নয়। আমরা বিশ্বাস করি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে যে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি, সেখানে পুলিশ জনগনের আস্থা অর্জন করবে। পুলিশের কোন সদস্য যদি অতিউৎসাহী হয়ে কোন অপরাধ করে থাকে, তালিকা দিলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার বলেন, জেলার শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হবে। মসজিদের মাইকে সহিংসতা এড়াতে মানুষকে সচেতন করতে বলা হবে। একই সঙ্গে শুক্রবার মসজিদে মসজিদে সচেতনতার বার্তা দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে প্রত্যেক উপজেলা প্রশাসন স্থানীয় রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় করণীয় বিষয়ে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার যশোর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে প্রশাসন ও সব রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণে সম্প্রীতি শোভাযাত্রা বের করা হবে।

সভায় আরও বক্তব্য দেন- জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সাবেরুল হক সাবু, যুগ্ম সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন, বিএনপি সিনিয়র নেতা ও আইনজীবী মোহাম্মদ ইসহক, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আবু মোর্ত্তজা ছোট, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সদস্য আমির মাওলানা আজিজুর রহমান, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ যশোরের সম্পাদক তসলিম-উর রহমান, গণতান্ত্রিক বাম জোট যশোরের নেতা জিল্লুর রহমান ভিটু, জেলা জামায়াতে ইসলামীর শূরা সদস্য অ্যাডভোকেট গাজী এনামুল হকসহ প্রমুখ।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম