Logo
Logo
×

সারাদেশ

রামগঞ্জে যুবলীগ নেতাসহ নিহত ৩, ভাঙচুর-লুটপাট 

Icon

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৬ আগস্ট ২০২৪, ১০:৫৪ পিএম

রামগঞ্জে যুবলীগ নেতাসহ নিহত ৩, ভাঙচুর-লুটপাট 

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে ভাঙচুর ও লুটপাট চলছে। গত ২ দিনে থানা, উপজেলা পরিষদের অন্তত ১২টি কার্যালয় ও আওয়ামী লীগের ৮ নেতার কার্যালয়-বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর, অস্ত্র লুটসহ আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। 

সবশেষ মঙ্গলবার সকালে উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মেহেদী মঞ্জুর বাড়িতে ভাঙচুর করা হয়। 

স্থানীয় সূত্র জানায়, রামগঞ্জে সোমবার পৃথক ঘটনায় ২ জনকে পিটিয়ে হত্যা এবং আগুন দেওয়ার কারণে ভয়ে এমপি আনোয়ার হোসেন খানের বাণিজ্যিক ভবনের ছাদ থেকে লাফ দিয়ে পড়ে শিশুর মৃত্যু হয়েছে। 

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রামগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইমতিয়াজ আরাফাত তিনজনের মৃত্যু ও হামলা-ভাঙচুরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার খবরে সোমবার বিকালে আন্দোলনকারীরা উপজেলার ভোলাকোটের আথাকরা গ্রামের যুবলীগ নেতা মো. নাসিরকে আটক করে। এ সময় তাকে প্রকাশ্যে পিটুনি দিয়ে হত্যা করে। সারারাত মরদেহ রাস্তার উপর পড়ে থাকলেও কেউ এগিয়ে আসেনি। 

মঙ্গলবার সকালে জানাজা ছাড়াই নিহতের বোনেরা মরদেহ দাফন করে। নিহত নাসির জেলা যুবলীগের বিলুপ্ত কমিটির সদস্য ও ভোলাকোট ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বশির আহমেদ মানিকের ছোট ভাই।

একই সময় লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসনের এমপি আনোয়ার হোসেন খানের মালিকানাধীন খান টাওয়ারে ভাঙচুর করে আগুন দেয় আন্দোলনকারীরা। জীবন বাঁচাতে ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে ১২ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তার নাম-পরিচয় জানা যায়নি। তবে পৌরসভার কাউন্সিলর কামরুল হাসান ফয়সাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এছাড়া জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সোমবার রাতে রামগঞ্জ পৌর শহরের সোনাপুর এলাকায় মনির হোসেন আটিয়া (৬০) নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা। নিহতের পরিবারের ভাষ্যমতে, একই বাড়ির জসিম, নাছির ও কামাল হামলা চালিয়ে পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।

আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, পৌরসভার মেয়র ও পৌর কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটওয়ারীর আঙ্গারপাড়ার বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে আসবাবপত্রসহ সব মালামাল লুট করে নেওয়া হয়। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ৭ নেতার কার্যালয়, বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট হয়।

উপজেলা প্রশাসনের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইউএনও, চেয়ারম্যান, প্রকৌশলী, পিআইওসহ অন্তত ১২ কর্মকর্তার কার্যালয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে। এ সময় ৩টি সরকারি গাড়ি, নথিসহ আসবাবপত্র বাহিরে এনে তছনছ করে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। 

সার্বিক বিষয়ে বক্তব্য জানতে রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমানের মোবাইল ফোনে কল করেও পাওয়া যায়নি। তবে রামগঞ্জ থানায় অগ্নিসংযোগ, অস্ত্র লুটের পর থেকে জেলা ও থানা পুলিশের কারো বক্তব্য জানা যায়নি।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম