বানিয়াচংয়ে নিহতদের জানাজায় মানুষের ঢল
বানিয়াচং (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬ আগস্ট ২০২৪, ০৮:৫৯ পিএম
হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে সোমবার পুলিশের গুলিতে নিহত ৭ জনের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় স্থানীয় এল আর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে লাখো মানুষের অংশগ্রহণে নিহতদের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা পড়ান খেলাফত মজলিশের কেন্দ্রীয় আমির মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ।
এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন বলেন, শত শত ছাত্র-জনতাকে হত্যা করেছে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ও তাদের পেটুয়া বাহিনী পুলিশ, র্যাব। যারা শহিদ হয়েছেন তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। বানিয়াচংয়ে যারা নিহত ও আহত হয়েছেন তাদের প্রত্যেকটি ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের কঠিন শাস্তির দাবি করেন তিনি।
তিনি বলেন, এ দেশ আমাদের, তাই রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করলে আমাদেরই ক্ষতি। আসুন শহিদদের সামনে রেখে প্রতিজ্ঞা করি আমরা সবাই ধৈর্যের সঙ্গে রাস্ট্র সংস্কার করব। যারা নিহত হয়েছেন তাদের পরিবারের পাশে আমরা আছি এবং আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে আমরা সবাই মিলে কাজ করে যাব।
নিহতরা হলেন- উপজেলা সদর জাতুকর্ণপাড়া গ্রামের হাসান মিয়া (১২), মাইঝের মহল্লার আশরাফুল মিয়া (১৭), পাড়াগাও গ্রামের মুজাক্কিও (৪০), কামালখানী গ্রামের নয়ন মিয়া (১৮) ও আকিকুর (৩০), পূর্বগড় গ্রামের সাদিকুর মিয়া (৩০), সুহেল আখঞ্জি (৩০)।
অপরদিকে গুলিবিদ্ধ চিকিৎসাধীন আনাস (১৬) নামের এক ছাত্র মঙ্গলবার মারা গেছেন। তিনি স্থানীয় খন্দকার মহল্লার মৃত আবুল হোসেন মিয়ার ছেলে।
নিহতদের জানাজায় উপস্থিত ছিলেন- কোটা আন্দোলনের হবিগঞ্জ জেলা ও উপজেলা সমন্বয়ক, উপজেলা বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতারা, বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতারা, সাংবাদিকসহ লাখো ছাত্রজনতা।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট দুপুর ১২ টায় বানিয়াচং এল আল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে কয়েক হাজার ছাত্র জনতা সরকার পদত্যাগের একদফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বড়বাজার যান। সেখান থেকে উত্তেজিত ছাত্র জনতা থানা ঘেরাও করতে গেলে পুলিশ অন্দোলনকারীদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালায়। এ সময় ৯ জন ছাত্র-জনতা মারা যান এবং ৬২ জন আহত হন।