লক্ষ্মীপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় ১২ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে ৮ জন ছাত্রলীগ-যুবলীগের ও ৪ জন আন্দোলনকারী।
এছাড়া আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম সালাহ উদ্দিন টিপুর বাসা থেকে ২৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে উপজেলা চেয়ারম্যান ও জীবিত উদ্ধারকারীরা কে কোথায় আছেন তা জানা যায়নি।
সোমবার দুপুরে সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) অরুপ পাল নিহতদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহতদের মরদেহ মর্গে রয়েছে।
নিহত শিক্ষার্থীরা হলেন- রায়পুর উপজেলার আবদুল গণির ছেলে ওসমান গণি, সদর উপজেলার উত্তর জয়পুর গ্রামের কাওসার ওয়াহেদ, ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের শরীফপুর গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে ছাবির হোসেন। এছাড়া আফনান পাওয়ারী নামের এক শিক্ষার্থী আহত অবস্থায় ঢাকায় নেওয়ার পথে মারা যায়। তার বাড়ি জেলা শহরের পৌর বাস টার্মিনাল এলাকায়।
ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা হলেন- তাওহিদ কবির রাফি, আকিবুল হাসান সিফাত, হারুনুর রশিদ, আহমেদ শরীফ, মো.রাসেল ও অজ্ঞাত ৩ জন।
জানা গেছে, রোববার রাত ২ টার দিকে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সমঝোতা করে চেয়ারম্যান টিপুর বাসার আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এর আগেই তাদের দুটি ভবনের ৩ তলা পর্যন্ত সব মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এনআরবিসি ব্যাংকের উপশাখা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। একই দিন দুপুর ১২টায় মাদাম ব্রিজ এলাকায় ও দুপুর ২টার দিকে তমিজ মার্কেট এলাকার বাসা থেকে আন্দোলনকারীদের ওপর টিপুর নেতৃত্বে গুলি চালানো হয়।
এদিকে আন্দোলনকারীদের দেওয়া আগুনে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়নের বাসার নিচতলা ও পঞ্চম তলা পুড়িয়ে দেয়। পাশে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি চৌধুরী মাহমুদুন্নবী সোহেলের বাসায় আগুন দেয় আন্দোলনকারীরা।