চরফ্যাশনে চলাচলের পথ আটকিয়ে প্রতিবেশীকে অবরুদ্ধ
চরফ্যাশন দক্ষিণ (ভোলা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪ আগস্ট ২০২৪, ০৮:৫৪ পিএম
চরফ্যাশন উপজেলার জিন্নাগড় ১ নাম্বার ওয়ার্ডের জামাল হাওলাদারের বাড়ির চলাচলের পথে ইটের গাঁথুনি (দেয়াল) দিয়ে আটকিয়ে অবরুদ্ধ করে বর্ষার মৌসুমে দুর্ভোগ সৃষ্টি করা হয়েছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, জামাল হাওলাদার গংদের দীর্ঘদিনের চলাচলের পথ আটকিয়ে ভোগান্তি সৃষ্টি করেছেন সাবিনা আক্তার।
বিষয়টি জেনে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে চলাচলের পথ খুলে দেওয়ার নির্দেশ দেন। চলাচলের পথ খুলে দেওয়ার কথা বলে ইটের গাঁথুনি দিয়ে আটকিয়ে ওই অসহায় পরিবারের দুর্ভোগ সৃষ্টি করা হয়েছে।
একাদশ শ্রেণিতে পড়ুয়া মিশু বলেন, বর্ষার এই মৌসুমে কোমড় পানি দিয়ে পথ চলতে আমাদের বইখাতা ও পোশক-পরিচ্ছদ নষ্ট হচ্ছে। অনেক সময় ক্লাসের পরিবর্তে ভিজে বাসায় ফিরতে হয়।
জানা গেছে, জামাল হাওলাদার গংরা ২০১৮ সালে সাবিনা আক্তারের কাছ থেকে জিন্নাগড় উত্তর মাদ্রাজ মৌজা থেকে ৪৮ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। ক্রয় করার সময় জামাল হাওলাদার গংদের বলা হয় প্রধান সড়কে যাতায়াতের জন্য রাস্তা ব্যবহার করতে পারবেন। উক্ত শর্তে জমি বিক্রি করলেও ৬ মাস পূর্বে ক্ষমতার দাপটে বলিয়ান হয়ে সাবিনা আক্তার ওই পথটি আটকিয়ে দেন। জামাল গংরা একাধিকবার পথের জন্য ধরনা ধরলেও কালক্ষেপন করে বর্ষার থই থই পানিতে তাদের যাতায়াতে বাধ্য করা হয়।
রুমা বেগম কান্নাজড়িত কন্ঠে জানান, সাবিনা আক্তার জমি বিক্রি করার সময় পথ (রাস্তা) দেখিয়ে পেছনের জমি আমাদের কাছে বিক্রি করেন। দলিলেও চলাচলের পথ উল্লেখ রয়েছে। আমার বৃদ্ধ শাশুড়ি হালেমা খাতুন হার্টের রোগী; সময়-অসময়ে তাকে ডাক্তারের কাছে নিতে হচ্ছে। চলার পথ আটকিয়ে দেওয়ায় হাঁটু পরিমাণ পানির মধ্যে দিয়ে ৪শ ফুট দূর দিয়ে ঘুরিয়ে সড়কে উঠতে দুর্ভোগের আর শেষ নেই।
জমির মালিক সাবিনা আক্তার বলেন, পেছনের জমি বিক্রি করেছি তারা কিভাবে বাড়ি থেকে বের হবে সেটা তো আমার ব্যাপার না। আমার জায়গায় আমি বাউন্ডারি দিয়েছি।