নোয়াখালীতে আওয়ামী লীগ কার্যালয় ভাঙচুর আগুন
বেগমগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৩ আগস্ট ২০২৪, ০৯:২৪ পিএম
সারা দেশে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা, মামলা ও খুনের প্রতিবাদে কোটা বিরোধী আন্দোলনকারীদের ৯ দফা দাবিতে ডাকা বিক্ষোভ মিছিল এবং সমাবেশ থেকে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে।
একই সঙ্গে সুধারাম মডেল থানায় ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও গুলি করার অভিযোগ করেছে জেলা পুলিশ। শনিবার বিকেল সোয়া ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত জেলা শহর মাইজদীর টাউন হল মোড় এলাকায় আ.লীগ কার্যালয়ে দুই দফায় হামলা চালায় তারা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর আড়াইটার দিকে জেলা শহর মাইজদী বিবি কনভেনশন হলের সামনে প্রধান সড়কে জড়ো হয় কোটা বিরোধী আন্দোলনকারীরা। সেখান থেকে মিছিল নিয়ে পুরাতন বাস স্ট্যান্ড এলাকার সুপার মার্কেটের সামনের প্রধান সড়ক অবরোধ করে। পরে তারা মিছিল নিয়ে টাউন হল মোড় দিয়ে মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় প্রথম দফায় জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে জিলা স্কুল পর্যন্ত চলে যায়।
পরবর্তীতে আবারও জিলা স্কুল এলাকা থেকে পুনঃরায় পিছনে এসে জেলা আ.লীগ কার্যালয়ের মূল ফটকের কলাপসিবল গেইট ভাঙচুর করে ভিতরে ডুকে নিচ তলার ব্যানার ও পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে অগ্নিসংযোগ করে। এসময় তারা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। পরে আন্দোলনকারীরা সরে গেলে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে সড়কে জমে থাকা পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
তবে অগ্নিসংযোগ করা হলেও পুলিশ কিংবা ফায়ার সার্ভিসের কোনো সদস্যকে ঘটনাস্থলে দেখা যায়নি। বিক্ষোভকারীরা শহরের মাইজদী নতুন বাস স্ট্যান্ড এলাকায় পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের সামনে একটি যাত্রীবাহী বাস ভাঙচুর করে।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সহিদ উল্যাহ খান সোহেল বলেন, কোনো প্রকার উস্কানি ছাড়াই আন্দোলনকারীরা আ.লীগ কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে, যা উদ্দেশ্য প্রণোদিত। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান জানান, কোটা বিরোধী আন্দোলনকারীরা সুধারাম মডেল থানার সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় থানা লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এসময় বিক্ষোভকারীদের ভিতর থেকে থানা লক্ষ্য করে গুলি করলে থানার ভবনের তৃতীয় তলার একটি জানালার কাঁচে গিয়ে লাগে। তবে কোনো পুলিশ সদস্য আহত হয়নি। তিনি আরও অভিযোগ করেন আন্দোলন চলাকালিন সময় নানাভাবে পুলিশকে লক্ষ্য করে উসকানি দেওয়ার চেষ্টা করলেও পুলিশ তাদের কোনো বাঁধা দেয়নি।