অতিবৃষ্টিতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে নিম্নাঞ্চল ডুবে যাওয়ায় দীঘিনালা-সাজেক সড়কে সাময়িকভাবে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এতে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক বেড়াতে যাওয়া তিন শতাধিক পর্যটক আটকা পড়েন বলে জানা গেছে। বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরিন আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিপাতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা ও রাঙামাটির বাঘাইছড়ির দীঘিনালা-সাজেক সড়কের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। ডুবে যায় ওই সড়কের বাঘাইহাট বাজারের অংশ। এতে শুক্রবার বিকাল থেকে সড়কটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়লে সাজেকে বেড়াতে যাওয়া তিন শতাধিক পর্যটক আটকা পড়েন। পানি কমে গেলে সড়কটিতে যানবাহন চলাচল সচল হয়ে গেলে আটকাপড়া পর্যটকরা ফিরতে পারবেন বলে জানিয়েছেন সাজেক রিসোর্ট কটেজ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চাকমা।
তিনি জানান, রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার বাঘাইহাট ও মাচালংয়ে পাহাড়ি ঢলে বন্যার পানিতে সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় খাগড়াছড়ি-দীঘিনালা-সাজেক সড়কে যানবাহন চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে। ফলে সাজেক ভ্যালিতে আটকা পড়েছেন তিন শতাধিক পর্যটক। গত কয়েক দিনে টানা বৃষ্টিপাতের ফলে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বাঘাইহাট ও মাচালং সড়কে পানি উঠেছে। এতে খাগড়াছড়ির সঙ্গে সাজেকের যানবাহন চলাচল বন্ধ আছে। তাই শনিবার সকালে স্কট ছেড়ে যায়নি এবং খাগড়াছড়ি থেকেও কোনো রকম গাড়ি সাজেক যায়নি। বৃষ্টিপাত বন্ধ হয়ে গেলে পাহাড়ি ঢলের পানি নেমে যাবে। তখন সড়ক যোগাযোগ সচল হলে আটকাপড়া পর্যকরা চলে যেতে পারবেন।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরিন আক্তার বলেন, শুক্রবার কিছুসংখ্যক পর্যটক সাজেকে ঘুরতে গেছেন। আগে থেকেই সেখানে আরও প্রায় তিনশ পর্যটক অবস্থান করছিলেন। খাগড়াছড়ি সড়কের বাঘাইহাট ও কবাখালী সড়ক বন্যার পানিতে ডুবে আছে। ফলে সড়কটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় সাজেকে ঘুরতে যাওয়া ওইসব পর্যটক আটকা পড়েছেন। পানি কমলে সড়কটির যোগাযোগ সচল হলে তখন তারা যেতে পারবেন।