
কোটা সংস্কার আন্দোলনে ১৯ জুলাই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ চলছিল। এমন সময় মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে বের হয়ে গুলিবিদ্ধ হন যশোরের ঝিকরগাছার ইমতিয়াজ হোসেন জাবির (২২)। রাজধানী ঢাকার বনশ্রী এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন।
এক সপ্তাহ পর শুক্রবার বিকাল ৪টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। সেখানে ময়নাতদন্ত শেষে ওই রাতেই লাশ গ্রামের বাড়িতে আনা হয়। শনিবার ঝিকরগাছার হাজিরবাগ ইউনিয়নের দেউলি গ্রামের বাড়িতে তার লাশ দাফন করা হয়েছে।
নিহত জাবির দেউলি গ্রামের নওশের আলীর ছেলে ও ঢাকায় সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটির বিবিএ প্রথমবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাবা পেশায় মুরগি ব্যবসায়ী। দুই ভাইবোনের মধ্যে জাবির বড়। তার ছোট বোন অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে।
শনিবার সকালে নিহতের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, ঘরের মধ্যে একটি কক্ষে ছেলে হারানোর শোকে কাতর হয়ে পড়ে আছেন মা শিরিনা বেগম। কাঁদতে কাঁদতে মাঝেমধ্যে জ্ঞান হারিয়ে ফেলছেন তিনি। অপরিদকে জাবিরের বাবা নওশের আলী অসুস্থ হয়ে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বলে জানিয়েছে তার পরিবার।
জাবিরের মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কোনো কথা বলতে রাজি হননি নিহতের স্বজনরা। গোটা এলাকায় শোক ও আতঙ্ক বিরাজ করছে।
স্থানীয় বাসিন্দা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. নুরুজ্জামান বলেন, জাবির অত্যন্ত ভালো ছেলে ছিল। ও বাড়িতে আসত, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করত। কখনো বাজে সঙ্গ ছিল না ওর। শুক্রবার জানতে পারি, নামাজ পড়ে বের হওয়ার সময় তার পায়ে গুলি লাগে। ওই সময় বাহিরে গোলাগুলি চলছিল। জাবিরের মৃত্যুতে আমরা এলাকাবাসী শোকাহত।
স্থানীয় আরেক বাসিন্দা শওকত হোসেন বলেন, আমরা এলাকাবাসী শুধু এটুকুই জানি যে, সে নামাজ পড়ে বের হচ্ছিল, তখন বাইরে সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে সে গুলিবিদ্ধ হয়।