গত ২০ জুলাই নারায়ণগঞ্জের ঢাকা-চট্টগ্রাম সড়কে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি খারাপ দেখে দোকানের শাটার টেনে কাঁচের দরজা বন্ধ করে দেন আকাশ।
কিন্তু পুলিশ মিষ্টির দোকানের সেই শাটার আর কাঁচের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে খুব কাছ থেকে আকাশের বাম হাঁটুতে গুলি করে। গত মঙ্গলবার চিকিৎসকরা তার বাম পা কেটে ফেলতে বাধ্য হন।
গত আড়াই বছর ধরে দোকানটিতে সাড়ে ৭ হাজার টাকা বেতনে কাজ করছিলেন আকাশ। অথচ পুলিশ তার বিরুদ্ধে সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগ করে।
দোকানের মালিক রাজু হোসেনসহ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ‘আকাশ দোকানের একজন কর্মী। সে আন্দোলন বা বিক্ষোভের সঙ্গে জড়িত না।’
আকাশের বাবা দুলাল মিয়া জানান, ‘একটা বেসরকারি হাসপাতাল বলছিল দুই লাখ টাকা দিলে ছেলেটার পা বাঁচাতে পারবে। কিন্তু তারা পারেনি। পরে আকাশকে পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে আসি। ছেলেটার একটা পা কেটে ফেলতে হইছে। ছেলের চিকিৎসার খরচ দিতে গিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছি। সামনের দিনগুলোতে কী হবে তাও জানি না।’
আকাশের চিকিৎসা করতে গিয়ে পরিবারটি এরই মধ্যে ৩ লাখ টাকা হাসপাতালের বিল পরিশোধ করেছে। হাসপাতালের বিছানায় অসহায়ভাবে শুয়ে থাকা আকাশ জানান, ‘এখন আমি কী করব? রাস্তায় ভিক্ষা করব?’