যশোরের মনিরামপুর-৫ আসনের সংসদ সদস্য এসএম ইয়াকুব আলীর ওপর হামলাচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে সংসদ সদস্যের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও ডিএসবির এক এএসআইসহ ৫ জন আহত হয়েছেন। এঘটনায় থানায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে।
শনিবার উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত গরিব ও দুস্থ রোগীদের মধ্যে চেক বিতরণের অনুষ্ঠান ছিল। অনুষ্ঠান চলাকালে এমন ঘটনা ঘটে।
হামলাকারীরা সবাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের অনুসারী বলে জানা গেছে। তবে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন লাভলু দাবি করেন, তার অনুসারীরা এ ঘটনায় জড়িত নয়। বরং প্রতিপক্ষরা তার তিন কর্মীকে মারপিট করেছে। তারা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে।
আহতরা হলেন- যশোর-৫ মণিরামপুর আসনের সংসদ সদস্য ইয়াকুব আলীর ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম, ডিএসবির এএসআই ফিরোজ হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এসএম বাপ্পী হুসাইন, আবু সালেহ ও রিয়াদ হোসেন। এদের মধ্যে নিরাপত্তা কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম, ডিএসবির এএসআই ফিরোজ হোসেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন সকালে গরিব ও দুস্থ রোগীদের মধ্যে উপজেলার উপজেলা পরিষদ হলরুমে সমাজসেবা অধিদপ্তরের বরাদ্দ করা চেক বিতরণের অনুষ্ঠান চলছিল।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে প্রধান অতিথি ইয়াকুব আলীর বক্তব্যের শুরুতে হলরুমের বাইরে হট্টগোল শুরু হয়। অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন লাভলু। তার অনুসারী হিসেবে পরিচিতরা হলরুমের দরজা ধাক্কা দিয়ে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করেন।
এ সময় দরজার কাছে থাকা উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এসএম বাপ্পী হুসাইন, আবু সালেহ ও রিয়াদ হোসেনকে মারধর শুরু করে ভেতরে প্রবেশ করে গোলমাল করেন। এ সময় তারা ভেতরে ঢুকে সংসদ সদস্য এসএম ইয়াকুব আলীর ওপর হামলার চেষ্টা করেন।
সংসদ সদস্য ইয়াকুব আলীর ব্যক্তিগত নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশের সাবেক এসআই শহিদুল ইসলাম ঘটনাস্থলে ছুটে যান। শহিদুল ইসলামকে পেয়ে তার ওপর হামলা করেন তারা। এ সময় তাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। একই সময় সরকারি কাজে দায়িত্ব পালনকারী ডিএসবির এএসআই ফিরোজ হোসেনকে মারধর করা হয়।
ডিএসবির এএসআই ফিরোজ হোসেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত সংসদ সদস্য এসএম ইয়াকুব আলী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাকির হোসেন ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানে সন্দীপ ঘোষের ওপর হামলার বর্ণনা দেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তন্ময় কুমার বিশ্বাস বলেন, এ ঘটনায় সংসদ সদস্য ইয়াকুব আলীর ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম, ডিএসবির এএসআই ফিরোজ হোসেনসহ ৫ জন হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন।
এ ব্যাপারে সংসদ সদস্য এসএম ইয়াকুব আলী বলেন, দেশের চলমান পরিস্থিতির মধ্যে যারা এ ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে তারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হতে পারে না। যারাই এ ঘটনায় জড়িত তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে।
মনিরামপুর থানার ওসি এবিএম মেহেদি মাসুদ বলেন, তদন্ত করে এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।