পুলিশ সদস্যের হাত কামড়ে দিয়ে শ্রীঘরে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান
রাজশাহী ব্যুরো
প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২৪, ১০:০৩ পিএম
এক নারী কনস্টেবলের হাত কামড়ে দেওয়া এবং অপর এক নারী কনস্টেবলকে মারধরের অভিযোগে রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শেখ হাবিবাকে (৩৫) গ্রেফতার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে তাকে গ্রেফতার করে মোহনপুর থানা পুলিশ। এরপর তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে দুপুরে শান্তনা মহান্ত (২৪) নামের ভুক্তভোগী নারী কনস্টেবল বাদী হয়ে হাবিবার বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন।
গত সোমবার রাতে মোহনপুর উপজেলা সদরে হাবিবা তার বাঁ-হাতে কামড় দেন বলে অভিযোগ। আর সাথী রানী শীল (২৫) নামের আরেক কনস্টেবলের চুল ধরে মারধর করেন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান। এ ঘটনার পর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা নেন শান্তনা। আর প্রাথমিক চিকিৎসা নেন সাথী রানী শীল। এ দুই কনস্টেবল মোহনপুর থানায় কর্মরত।
রাজশাহী সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কেএম এরশাদ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হাবিবাকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, দুপুরে তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়। এরপর বিকালে তাকে গ্রেফতারের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
পুলিশ জানায়, গত সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে তিনি চিকিৎসা শেষে অসুস্থ কনস্টেবল সাথী রানী শীলকে নিয়ে বাসায় ফিরছিলেন। এ সময় মোহনপুর বাজারে ভাইস চেয়ারম্যান হাবিবার সঙ্গে তাদের দেখা হয়। ইনজেকশন দেওয়ার কারণে সাথী রানীর হাতে ক্যানোলা ছিল। হাবিবা জিজ্ঞাসা করেন, সাথী রানী শীলের হাতে কী হয়েছে। তারা দুই-একটি কথা বলে সেখান থেকে চলে আসতে চাইলে শেখ হাবিবা অশ্লীল ভাষায় গালাগালি শুরু করেন।
এ সময় হাবিবা বলেন, মোহনপুর থানায় চাকরি করতে হলে তার কথামতো চলতে হবে। তিনি দুই পুলিশ কনস্টেবলকে তুই বলে সম্বোধন করেন। পুলিশ সদস্যরা এর প্রতিবাদ করলে ভাইস চেয়ারম্যান অশ্লীল ভাষায় গালাগালি শুরু করেন। একপর্যায়ে হাবিবা তাদের দুজনকে লাথি মারেন। চুল ধরে টানাটানি শুরু করেন। তার কাছ থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে শান্তনার হাতের কবজিতে কামড় দেন শেখ হাবিবা। এরপর তিনি মোহনপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা নেন। হামলার ঘটনায় কনস্টেবল সাথীও আহত হন।
এর আগে ভাইস চেয়ারম্যান হাবিবা সোলায়মান নামে একজন এসআইয়ের ওপর হামলা চালিয়ে ছিলেন। এছাড়া হাবিবার বিরুদ্ধে দোলা রানী নামের এক কনস্টেবলের ওপরেও হামলার অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি তিনি বাকশিমইল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য খালেদা খাতুন এবং মোখলেসুর রহমানকে জনসস্মুখে লাঞ্ছিত করেন। হাবিবার বিরুদ্ধে আগে থেকেই চারটি মামলা ছিল।