পদ্মায় নিখোঁজ নৌপুলিশ সদস্যের ৬ দিনেও সন্ধান মেলেনি
শিবচর ও টেকেরহাট (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২৪, ১০:০৩ পিএম
মাদারীপুরের শিবচরে পদ্মা নদীতে স্পিডবোট উল্টে নিখোঁজ নৌপুলিশের সদস্যের খোঁজ মেলেনি ৬ দিনেও। নিখোঁজ মেজবা উদ্দিন (৫৫) শিবচর উপজেলার চরজানাজাত নৌপুলিশ ফাঁড়িতে কনস্টেবল হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। তার বাড়ি বরিশালের ঝালকাঠিতে।
সূত্র জানায়, গত শুক্রবার (১৯ জুলাই) বিকালে মানুষ ট্রলারযোগে কাঁঠালবাড়ি থেকে মাওয়ায় পদ্মা নদী পারাপার হচ্ছে বলে জানতে পারে নৌপুলিশ। এমন খবর পেয়ে শিবচরের চরজানাজাত নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক মো. ইলিয়াস হোসেন, সহকারী উপ-পরিদর্শক সুমন মিয়া, কনস্টেবল আতাউর রহমান, নূরে আলম, মাইনুল হোসেন ও মেজবা উদ্দিনের সমন্বয়ে একটি দল স্পিডবোট নিয়ে পদ্মা নদীতে টহলে যায়। হঠাৎ পদ্মার ঢেউয়ে নৌ-পুলিশের স্পিডবোটটি উল্টে যায়।
এ সময় সবাই সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও নিখোঁজ হন মেজবা উদ্দিন। গত কয়েক দিন ধরে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন থাকায় মেজবা উদ্দিনকে উদ্ধার অভিযানে বেগ পেতে হয় বিভিন্ন দপ্তরকে।
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত নিখোঁজ কনস্টেবলের খোঁজ পাওয়া যায়নি। তবে পদ্মা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে উদ্ধার তৎপরতা বাড়ানোর কথা জানিয়েছে কোস্টগার্ড, নৌপুলিশ ও বিআইডব্লিউটিএ।
শিবচর ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন অফিসার তপন কুমার ঘোষ বলেন, জেলাজুড়ে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন থাকায় নিখোঁজ নৌপুলিশের সদস্যকে উদ্ধারে অনেকটাই বেগ পেতে হয়েছে। তবুও নৌপুলিশের সহযোগিতায় চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
শিবচরের চরজানাজাত নৌপুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিসুর রহমান বলেন, দুর্ঘটনার পরপরই পদ্মা নদীর বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেও মেজবা উদ্দিনের সন্ধান মেলেনি। তবুও চেষ্টা চলছে।
মাদারীপুরের শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুব্রত কুমার গোলদার বলেন, পদ্মা নদীতে ডিউটি চলাকালে নিখোঁজ নৌপুলিশ সদস্যের এখনো কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। সঙ্গে থাকা বাকিরা সুস্থ আছেন।