বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলা কৃষি অফিসের উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্র মন্ডলের বিরুদ্ধে তার সহকর্মীকে উত্ত্যক্তের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ওই সহকর্মী প্রতিকার চেয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। 

লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কৃষি অফিসে ২০০৯ সালে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন সুভাষ চন্দ্র মন্ডল। ১৫ বছর ধরে একই স্থানে চাকরি করার সুবাদে সবাইকে ম্যানেজ করে দুর্নীতির পাহাড় গড়ে তুলেছেন সুভাষ চন্দ্র মন্ডল। যার কারণে যে কৃষি কর্মকর্তা আগৈলঝাড়ায় যোগদান করেন, তার সঙ্গে তার ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তার প্রভাবের কারণে অন্য উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা সবসময় ভয়ে থাকেন। তবে তার বিরুদ্ধে কেউ কিছুই বলতে সাহস করছে না। তাকে অন্যত্র বদলি করা হলেও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে পুনরায় একই স্থানে থেকে যান। যার কারণে ওই সমকর্মীর কক্ষে গিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে উত্ত্যক্ত করে আসছেন সুভাষ। 

ওই সহকর্মী বলেন, আমার স্বামী মারা যাবার পর থেকেই সুভাষ আমাকে একাধিকবার উত্ত্যক্ত, কু-প্রস্তবসহ শ্লীলতাহানীর ঘটনা ঘটায়। তাকে অনেকবার বুঝানোর চেষ্টা করেও আমি যখন ব্যর্থ হই তখন তার বিরুদ্ধে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে লিখিত অভিযোগ দিই। সুভাষের চরিত্র খুবেই খারাপ।   

সুভাষ বলেন, তার সঙ্গে আমার একটি প্রকল্পের কাগজপত্র নিয়ে সমস্যা হয়েছে। অন্য কোনো সমস্যা নেই। আমার বিরুদ্ধে সে যে অভিযোগ করেছে তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা পীযূষ রায় বলেন, এ ঘটনা আমার সময় নয়। তার পরও আমাকে লিখিত অভিযোগের কপি দেওয়া হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন। এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারিহা তানজিন বলেন, এত কিছু কৃষি অফিসে হয়েছে, তা আমাকে কেউ জানায়নি। আমি আপনাদের মাধ্যমে জেনেছি। এখন জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।