পাবনা জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মিজানুর রহমান সবুজকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
বুধবার বেলা আড়াইটার দিকে পাবনার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালতের বিচারক মো. কামাল হোসেন শুনানি শেষে জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আসামিপক্ষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল আহাদ বাবু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ১১ জুন উচ্চ আদালতে জামিন আবেদন করেছিলেন মিজানুর রহমান সবুজ। কিন্তু শুনানি শেষে জামিন না দিয়ে পরবর্তী ৬ সপ্তাহের মধ্যে পাবনার নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন উচ্চ আদালত।
মামলায় আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট আব্দুল আহাদ বাবু, দেওয়ান মজনুল হক ও বেলায়েত আলী বিল্লু। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন এপিপি অ্যাডভোকেট মকিবুল আলম লাবলু।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে ২০২৩ সালের ২ ডিসেম্বর পাবনার চাটমোহরে এক পথসভায় উসকানি ও হুমকিমূলক বক্তব্য দিয়েছিলেন জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মিজানুর রহমান সবুজ। সেদিন তিনি বলেছিলেন— ‘পাবনা-৩ আসনে মকবুল চাচা ছাড়া কেউ ভোট করতে পারবে না। যারা নৌকার বিপক্ষে অবস্থান করবে, তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলাম।’
তার এ বক্তব্যের পর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন বাদী হয়ে গত ২ জানুয়ারি সবুজকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মিজানুর রহমান সবুজকে নির্বাচনি আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে ৪ ডিসেম্বর কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন পাবনা-৩ আসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির সদস্য, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ তাজউল ইসলাম। এরপর কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব দিতে ৫ ডিসেম্বর সশরীরে হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দিয়ে আচরণবিধি ভঙ্গের ঘটনায় নিঃশর্ত ক্ষমা চান সবুজ।