ছবি: যুগান্তর
বগুড়ায় কোটাবিরোধী আন্দোলনের নামে গত ১৬ জুলাই বিকালে শহরের সাতমাথায় প্রধান ডাকঘরে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। পোস্টমাস্টার আল আমিন মঙ্গলবার রাতে সদর থানায় অজ্ঞাত ৫০০ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন। এ নিয়ে গত কয়েক দিনে ১২ মামলায় ৭৭৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনাসহ ৭৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বুধবার বিকালে সদর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) শাহিনুজ্জামান শাহিন এ তথ্য জানিয়েছেন।
এজাহারসূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুসারে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারী বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা গত ১৬ জুলাই বিকাল ৩টার দিকে বগুড়া শহরের সাতমাথায় সমবেত হতে হন। সোয়া ৩টার দিকে জিলা স্কুল থেকে সাবেক ও বর্তমান ছাত্ররা মিছিল নিয়ে বের হতে শুরু করেন।
এ সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের প্রতিহত করতে ৩-৪টি ককটেল বিস্ফোরণ করেন। এতে জিলা স্কুলের কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হলে শিক্ষার্থীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন। তারা ধাওয়া করলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পালিয়ে যান। এরপর কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীরা সাতমাথায় তাণ্ডব শুরু করেন। তারা তিন ঘণ্টা ধরে জেলা আওয়ামী লীগ, জাসদ, টাউন ক্লাব, প্রধান ডাকঘর, জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সুলতান মাহমুদ খানের দুটি ব্যক্তিগত কার্যালয়, পাশেই পুলিশ বক্স, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের অস্থায়ী কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও জিনিসপত্র বাহিরে এনে আগুন ধরিয়ে দেয়।
এছাড়া মুজিব মঞ্চ ভাংচুর করে। পুলিশ বক্সে থাকা ৪-৫টি মোটরসাইকেল পুড়ে যায়। রোড ডিভাইডারগুলো ভেঙে ফেলা হয়। দীর্ঘ সময় ধরে প্রধান ডাকঘরের সাইনবোর্ড ও অফিসের কাচ ভাংচুর করা হয়। আওয়ামী লীগ নেতা রনির দুটি কার্যালয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আগুন জ্বললেও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আসেননি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হামলায় কোটাবিরোধীদের ছদ্মবেশে ছাত্রদল ও শিবিরের নেতাকর্মীরা অংশ নেন। তারাই বেশি তাণ্ডব চালায়। হামলায় ৪-৫ জন সাংবাদিক আহত হন।
বগুড়া সদর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) শাহিনুজ্জামান শাহিন জানান, শহরের সাতমাথায় প্রধান ডাকঘরে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। পোস্টমাস্টার আল আমিন মঙ্গলবার রাতে অজ্ঞাত ৪০০-৫০০ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন।
তিনি আরও জানান, তদন্ত করে আসামিদের শনাক্ত ও গ্রেফতার করা হবে। এছাড়া অন্যান্য মামলার আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।