বেরোবি উপাচার্যের বাসভবনে থাকা গাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ছবি: সংগৃহীত
রংপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থী আবু সাঈদ নিহতের পর বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে ক্যাম্পাস ও আশপাশ এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
এ সময় উপাচার্যের বাসভবনের বাইরে থাকা সহ-উপাচার্য ও পুলিশের গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়।
এদিকে বিকালে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পার্ক মোড় ও ক্যাম্পাসে সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হন। এ সময় সাংবাদিকদের গাড়িও ভাঙচুর করা হয়।
তাদের হামলায় আহত হয়েছেন টেলিভিশন চ্যানেল বাংলা ভিশনের ক্যামেরাপারসন শাহনেওয়াজ জনি, এটিএন নিউজের শাহরিয়ার মিম, সময় নিউজের তরিকুল ইসলাম, সাংবাদিক রেদওয়ান হিমেল, প্রতিদিনের বার্তার মুহম্মদ রাজিমুজ্জামান। তাদের মধ্যে তরিকুলের অবস্থা গুরুতর। এ সময় ক্যাম্পাসে কোনো পুলিশ ছিল না।
সন্ধ্যা ৭টার পর উপাচার্যের বাসভবন এলাকা থেকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা সরে যান।
শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতির কক্ষে আগুন দেওয়া হয়েছে। হলের সামনে থাকা একটি গাড়ি ও পাাঁচটি মোটরসাইকেলও আগুন দেওয়া হয়েছে। শহিদ মুক্তার এলাহী হলে ছাত্রলীগ কর্মীদের পাঁচটি কক্ষেও আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দায়িত্বরত পুলিশের উপ-পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সন্ধ্যা পর্যন্ত হাসপাতালে ২ জন সাংবাদিকসহ ২৬ শিক্ষার্থী চিকিৎসাধীন আছেন। এর আগে অনেকেই ভর্তি হলেও প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন বলে তিনি জানান।