ফাইল ছবি
বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে পাগলা কুকুরের কামড়ে বিভিন্ন বয়সের ২৪ জন নারী, পুরুষ ও শিশু আহত হয়েছেন। রোববার রাত ৮টা থেকে সোমবার বিকাল ৪টা পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহবুব হোসেন সরকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, জলাতঙ্কের প্রতিশেধক টিকা না থাকায় আক্রান্তদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
আহতদের কয়েকজন হলেন- সারিয়াকান্দি সদর ইউনিয়নের দেলুয়াবাড়ি গ্রামের তারাজুল ইসলাম (৬০), কুঠিবাড়ি এলাকার জয়নব বেগম (৪০), পাকুল্লা এলাকার সায়েদুজ্জামান (৫৫), কুপতলা এলাকার আসাদ প্রামাণিক (৪০), ধলিরকান্দি এলাকার নূর আলম (৫২), নিজবাটিয়ার ঈশ্বর চন্দ্র (৫০), ধাপ এলাকার বন্ধন (৬), আবু সাঈদ (৩০), কমেলা (৫০), কিয়াম উদ্দিন (৬০), কৈয়েরপাড়া এলাকার মহিদুল প্রামাণিক (৫০), কুড়িপাড়ার জয়নব (৪০), বাগবেড় এলাকার সাদেকুল ইসলাম (১৫), বাড়ইপাড়ার মনোয়ারা (৩০) ও মথুরাপাড়ার বাবলু (৪০)।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রোববার রাত ৮টার দিকে একটি পাগলা কুকুর বিভিন্ন এলাকার মানুষকে আক্রমণ ও শরীরে কামড় দেয়। আক্রান্তরা দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও চিকিৎসকের কাছে যান। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জলাতঙ্ক রোগের টিকা (ভ্যাকসিন) না থাকায় চিকিৎসকরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আক্রান্তদের বগুড়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেন।
আহতরা জানান, রোববার রাত থেকে এক বা একাধিক পাগলা কুকুর উপজেলার ধাপ, কুপতলা, দেলুয়াবাড়ি, আন্দরবাড়ি, কৈয়েরপাড়া, কুড়িপাড়া, ধলিরকান্দিসহ কয়েকটি এলাকার মানুষকে কামড় দেওয়া শুরু করে। অনেকের শরীরে কামড় দিয়ে মাংস তুলে নেয়।
সারিয়াকান্দি পৌরসভার মেয়র মতিউর রহমান মতি জানান, একটি পাগলা কুকুর তার পৌর এলাকায় ৩-৪ জনকে কামড় দিয়েছে। হাসপাতালে ভ্যাকসিন না থাকায় তিনি ৪৭০ টাকা মূল্যের ভ্যাকসিন কিনে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহবুব হোসেন সরকার জানান, দেশের কোন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জলাতঙ্ক রোগের টিকা নেই। সোমবার বিকাল ৪টা পর্যন্ত কুকুর কামড়ানো ২৪ জন রোগী এসেছিল। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে অন্যত্র টিকা নিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।