জামিন পেয়ে রুবেল হত্যা মামলার আসামিদের হুমকি-ধামকি, থানায় জিডি
গাইবান্ধা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৫ জুলাই ২০২৪, ১২:৫৫ এএম
নিহত রুবেল মিয়া
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায় চাঞ্চল্যকর রুবেল মিয়া হত্যা মামলার কয়েকজন আসামি উচ্চ আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পর বাদীপক্ষের লোকজনকে নানা ধরনের হুমকি-ধামকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পলাশবাড়ী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
জানা যায়, রুবেল হত্যা মামলার ১৭ জন আসামির মধ্যে ১১ জন কয়েকদিন আগে পৃথকভাবে হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন নেন। এরপরই তারা এলাকায় এসে বাদীপক্ষকে নানাভাবে হুমকি-ধামকি দেওয়া শুরু করেন। জামিন প্রাপ্তরা হলেন- শামীম, সোহেল ওরফে কালু, জিসান, জনি, আ. মালেক, সাইদুর রহমান ওরফে ভুলু মিয়া, পলাশ ওরফে হাবু মিয়া, আ. খালেক, পাপ্পু, নাজমুল ও আবু সাইদ।
বাদীপক্ষের অভিযোগ, জামিন পাওয়ার পর উক্ত আসামিরা তাদের হুমকি দিয়ে মামলা তুলে নিতে বলছে। তা না হলে আবারও তাদের বাড়িঘরে হামলা ও তাদের এলাকা-ছাড়া করা হবে। কেউ কেউ আবার বাদীপক্ষের বাড়ির আশপাশ দিয়ে ঘোরাঘুরি করছে এবং নতুন করে ঝগড়া লাগানোর অজুহাত খুঁজছে।
নিহত রুবেল মিয়ার ছেলে-মেয়েরা অভিযোগ করেন, আসামিরা চেষ্টা করছে পায়ে পাড়া দিয়ে নতুন করে ঝগড়া লাগাতে, যাতে নিজেদের লোকজনের ক্ষতি করে বাদীপক্ষের নামে মামলা করা যায় এবং হত্যা মামলা তুলে নিতে তাদের বাধ্য করা যায়। এ নিয়ে তাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে এবং বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করার পাশাপাশি একটি জিডি করা হয়েছে বলেও জানান তারা।
রুবেল হত্যার বিচার চেয়ে ডিসি, এসপি ও ইউএনওকে স্মারকলিপি
পলাশবাড়ী থানা সূত্রে জিডি করার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
উল্লেখ্য, গত ১৮ জুন পলাশবাড়ীর বোর্ড বাজার এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি থেকে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় উভয়পক্ষকে থামাতে গিয়ে আসামিপক্ষের লোকদের মারধর ও মাথায় চাইনিজ কুড়ালের চোটে গুরুতর আহত হন রুবেল মিয়া। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২০ জুন ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা যান তিনি।
রুবেল মিয়ার সকল হত্যাকারীকে গ্রেফতারের প্রতিশ্রুতি দিলেন ওসি
এ ঘটনায় ১৭ জনকে আসামি করে পলাশবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। এখন পর্যন্ত র্যাব ও পুলিশের যৌথ অভিযানে তিন আসামি গ্রেফতার হয়েছে। বাকি তিন আসামিকে গ্রেফতারের ব্যাপারে পুলিশের পক্ষ থেকে তেমন কোনো তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছে বাদীপক্ষ।
এ বিষয়ে পলাশবাড়ী থানার ওসি কে এম আজমিরুজ্জামান বলেছেন, মামলার তদন্ত চলছে, বাকি আসামিদেরও গ্রেফতার করা হবে। হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত আলামত জব্দসহ অন্যান্য তথ্য জানতে ইতোমধ্যে গ্রেফতারদের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।