রামগতিতে ছেলের বউকে পতিতাবৃত্তিতে (দেহ ব্যবসা) বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে শাশুড়ির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। বর্তমানে অসুস্থ হয়ে তিনি বাবার বাড়িতে অবস্থান করছেন। 

ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার চরগোসাই গ্রামের বিবিরহাট এলাকার জেলে বাড়িতে। সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, ওই গ্রামের মৃত নিরঞ্জন চন্দ্র দাসের স্ত্রী তুষা রানী দাস তার ছেলে সুজন চন্দ্র দাসকে একই উপজেলার চরআফজল গ্রামে বিয়ে করান। 

দুই সন্তানের জননী ওই গৃহবধূর শাশুড়ি তাকে দিয়ে দেহ ব্যবসা করাতে চান। এজন্য বিভিন্ন লোকজন এনে টাকার বিনিময়ে ছেলের বউকে দিয়ে তিনি এ অনৈতিক কাজ করাতে বাধ্য করেন। নয়ন চন্দ্র দাস নামে তার এক দেবরও প্রতিনিয়ত তাকে জোরপূর্বক এ কাজ করতে বাধ্য করে আসছেন। 

এ অনৈতিক কাজ করতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছেন শাশুড়ি। ঘটনাটি তার স্বামী সুজন চন্দ্র দাসকে জানালেও তিনি কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে উলটো মায়ের এ অনৈতিক কাজকে সমর্থন দিচ্ছেন বলে জানান ওই গৃহবধূ। 

তাদের নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে শ্বশুর বাড়ি থেকে বাবার বাড়ি চলে যান তিনি। ওই গৃহবধূ জানান, এ অবস্থায় তার আত্মহত্যা করা ছাড়া বিকল্প আর কোনো পথ নেই। 

অভিযোগ অস্বীকার করে গৃহবধূর স্বামী সুজন চন্দ্র দাস বলেন, তার স্ত্রী মানসিক রোগে আক্রান্ত। তাই এসব উদ্ভট কথা বলছেন। বরং তার স্ত্রী তাকে বিভিন্ন সময় মারধর করে আসছেন। 

অভিযোগ পাওয়ার কথা নিশ্চিত করে থানার ওসি মোহাম্মদ মোছলেহ উদ্দিন বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।