গড়ে যাওয়া কর্মস্থানের উছিলায় নুরুল ইসলামকে আল্লাহ বেহেশত নসিব করবেন
বিজয়নগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২৪, ১২:৪০ এএম
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলায় যমুনা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম বাবুলের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকীতে শোকসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার বিকাল ৫ টায় বিজয়নগর উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে বিজয়নগর উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি, উপজেলা স্বজন সমাবেশের প্রধান সমন্বয়ক ও দৈনিক যুগান্তরের প্রতিনিধি এস এম কামরুল হাসান শান্তর সভাপতিত্বে ও উপজেলা স্বজন সমাবেশের সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন রুবেলের সঞ্চালনায় কুরআন তিলাওয়াত করেন, হাফেজ মোহাম্মদ মোজাম্মেল হোসেন। শোকসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ মাহবুবুল হক।
বিশেষ অতিথি ছিলেন, দৌলতবাড়ি দরবার শরিফের গদ্দিনিশীন পীর সৈয়দ নাঈম উদ্দিন আহমেদ, এস আই জিএম কাদের, ইছাপুরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ইসহাক সরকার, ইছাপুরা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো. রাষ্টু মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মো. আবু হানিফ খন্দকার, সাবেক মেম্বার মো. আফজাল হোসেন প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ মাহবুবুল হক বলেন, একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান ছিলেন তিনি। তাহার কর্মের মাধ্যমে জীবনের পুরোটা অংশে মানবসেবা করে গেছেন। যুগান্তরসহ তাহার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সবার দায়িত্ব হলো ভালো কর্মের মাধ্যমে পরকালে তাহার নাজাতের উসিলা হওয়া।
দৌলতবাড়ি দরবার শরিফের গদ্দিনিশীন পীর সৈয়দ নাঈম উদ্দিন আহমেদ বলেন, একজন ব্যক্তি ন্যায়নীতি ও আদর্শের মধ্য থেকে যদি কারো মুখে আহার তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন সেই ব্যবস্থার কারণে আল্লাহ তাঁকে বেহেস্ত নসিব করতে পারেন। নুরুল ইসলাম দেশের কয়েক লক্ষ মানুষের মুখে আহার তুলে দেওয়া ব্যবস্থা করে গেছেন। আল্লাহ তাদের উছিলায় নুরুল ইসলামকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুক, আমিন।
সভাপতির বক্তব্যে এস এস কামরুল হাসান শান্ত বলেন, নুরুল ইসলাম বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট শিল্পপতি, সমাজসেবক ও মানবিক গুণাবলি সম্পন্ন ব্যক্তি ছিলেন, তিনি শূন্য থেকে ৪৩টির অধিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। নিজের দেশের কথা ভেবে, যুবসমাজের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে দেশেই গড়ে তুলেছেন নানা ধরনের শিল্পপ্রতিষ্ঠান। ১৯৭৪ সালে যমুনা ইলেকট্রনিক অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেড প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে শুরু হয় যমুনা গ্রুপের পথচলা। নিজের সফলতার পাশাপাশি পরিবারের সব মানুষকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে গেছেন। তার পরিবারের সবার সুস্বাস্থ্য ও নেক হায়াত কামনার পাশাপাশি প্রয়াত নুরুল ইসলাম এর রুহের মাগফেরাত কামনা করেন।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, স্বজন সমাবেশ বিজয়নগর উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি মো. দুলাল আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক শাহনেওয়াজ শাহ্, দপ্তর সম্পাদক শ্যামল সরকার নিলয়, কোষাধ্যক্ষ আব্দুল হামিদ, মো. মিজানুল ইসলাম, জুনাইদ মিয়া, আল আমিন প্রমুখ।
শোকসভা শেষে প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের রুহের মাগফেরাত কামনা ও তার পরিবারবর্গের সুস্বাস্থ্য ও নেক হায়াত কামনা করে বিশেষ দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন দৌলতবাড়ি দরবার শরিফের গদ্দিনিশীন পীর সৈয়দ নাঈম উদ্দিন আহমেদ।