‘দেশ মাটি ও মানুষের জন্য নিবেদিত ছিলেন নুরুল ইসলাম’
রাজশাহী ব্যুরো
প্রকাশ: ১৩ জুলাই ২০২৪, ১০:০২ পিএম
রাজশাহী মহানগরীর চণ্ডিপুর এলাকার জামিয়া সিদ্দিকিয়া কওমি মাদ্রাসায় স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল ছবি: যুগান্তর
যুগান্তরের স্বপ্নদ্রষ্টা ও যমুনা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে রাজশাহীতে স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার দুপুরে মহানগরীর চণ্ডিপুর এলাকার জামিয়া সিদ্দিকিয়া কওমি মাদ্রাসায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। স্মরণসভার শুরুতে নুরুল ইসলামের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
দৈনিক যুগান্তর রাজশাহী ব্যুরোর স্টাফ রিপোর্টার তানজিমুল হকের সঞ্চালনায় স্মরণসভায় নুরুল ইসলামের স্মৃতিচারণ করেন বক্তারা।
যুগান্তরের সিনিয়র রিপোর্টার ও রাজশাহী ব্যুরোর প্রধান আনু মোস্তফা বলেন, দেশের অন্যতম সফল শিল্পপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে ফিরে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মানুষের কল্যাণে কাজ করবেন।
দেশ গড়ার কাজে তিনি দূরদর্শী এবং বুদ্ধিদীপ্ত পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। তিনি চিন্তা করেছিলেন দেশকে যদি গড়তে হয়, তাহলে শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে হবে। তিনি সেই কাজটি করে দেখিয়েছেন। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং কর্মসংস্থানে তার অসামান্য অবদানের বিষয়টি জাতি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণে রাখবেন।
সামাজিক সংগঠন রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান বলেন, যমুনা গ্রুপ দেশের অন্যতম বড় একটি শিল্পপ্রতিষ্ঠান। নুরুল ইসলাম ছিলেন স্বপ্নের ফেরিওয়ালা। তিনি খুব কড়া অনুশাসনের মানুষ ছিলেন এবং নিজেও সেটি মেনে চলতেন। তিনি ঋণখেলাপি ছিলেন না। দেশ, মাটি এবং মানুষের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন। আমি নুরুল ইসলামের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। পাশাপাশি দৈনিক যুগান্তরসহ যমুনা গ্রুপের সব প্রতিষ্ঠানগুলোর উত্তরোত্তর সফলতা কামনা করছি।
স্মৃতিচারণ শেষে উপস্থিত সবাইকে নিয়ে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের আয়োজন করা হয়। এ সময় নুরুল ইসলামের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে জামিয়া সিদ্দিকিয়া কওমি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবু তাহের মোনাজাত পরিচালনা করেন।
এর আগে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের নিয়ে কুরআনখানির আয়োজন করা হয়। এছাড়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জামিয়া সিদ্দিকিয়া কওমি মাদ্রাসার সেক্রেটারি হাফেজ মাওলানা আব্দুস সবুর, দৈনিক যুগান্তরের রাজশাহী ব্যুরোর ফটোসাংবাদিক আযম খান, ব্যুরোর বিজ্ঞাপন প্রতিনিধি শরিফুল ইসলাম প্রমুখ।