বগুড়ার শিবগঞ্জে এসএসসি পাশ করার পর মেধাবী শিক্ষার্থী মাইশা আনজুম মৌ (১৭) কলেজে ভর্তির জন্য অনলাইন আবেদন করেছিলেন। তার সম্মতিতে পরিবার থেকে বিয়ের আলোচনা চলছিল। সাপের দংশনে তার কলেজে ভর্তির স্বপ্নপূরণ ও বিয়ের পিঁড়িতে বসা হলো না।
শুক্রবার গভীর রাতে শিবগঞ্জ পৌরসভার তেঘরী মধ্যপাড়ায় বাড়িতে ঘুমন্ত অবস্থায় পায়ে সাপের দংশনে তার মৃত্যু হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মাইশা আনজুম মৌ শিবগঞ্জ পৌরসভার তেঘরী মধ্যপাড়ার ঢালাই মিস্ত্রি মজনু মিয়ার মেয়ে। মৌ এ বছর স্থানীয় উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করেছে। রেজাল্ট হওয়ার পর সে কলেজে ভর্তি হতে অনলাইনে আবেদন করে। তার বাবা-মা বিয়ের প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন। ঠিক এ সময় পরিবারে যেন বজ্রপাত ঘটল। শুক্রবার রাতে খাবার পর মৌ ছোট বোন মোবাশ্বিরা আকতারকে (৮) নিয়ে খাটে ঘুমিয়ে পড়ে। গভীর রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় মৌর পায়ে বিষধর সাপ দংশন করে। এতে মৌ অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং বাবা-মায়ের ঘরে এসে চিৎকার করতে থাকে। স্বজনরা তাকে দ্রুত শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বাবা মজনু মিয়া ও মা নুর নাহার বেগম বলেন, মেয়ে এসএসসি পাশ করার পর কলেজে ভর্তি হতে অনলাইনে আবেদন করেছে। বিয়ের সম্মতি নিয়ে পাত্রপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছিল। কিন্তু তার উচ্চশিক্ষা গ্রহণের আশা পূরণ হলো না। বিয়ের পিঁড়িতেও বসা হলো না। রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় সাপের ছোবলে মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সকালে পাশের গ্রামে এক ওঁঝা এসে ঘরে অনেক খোঁজাখুঁজি করলেও সাপটির সন্ধান পাননি।
শনিবার সকালে শিবগঞ্জ থানার ওসি আবদুর রউফ জানান, কলেজ ভর্তিচ্ছু মেয়েটির সাপের কামড়ে মৃত্যু হয়েছে। কোনো অভিযোগ না থাকায় পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।