Logo
Logo
×

সারাদেশ

ফের বাড়ছে পানি, অসহনীয় কষ্ট বানভাসিদের

Icon

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১১ জুলাই ২০২৪, ১২:৩১ পিএম

ফের বাড়ছে পানি, অসহনীয় কষ্ট বানভাসিদের

কুড়িগ্রামের ১৬টি নদ-নদীর পানি গত দুদিন ধরে কিছুটা কমলেও আবারও বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। ফলে জেলার ৯টি উপজেলার ৫৫টি ইউনিয়নের প্রায় দুই লাখ পানিবন্দি মানুষের দূর্ভোগ কমেনি। বরং নতুন করে দুর্ভোগ শুরু হয়েছে।

শুকনা খাবার, বিশুদ্ধ পানি আর গবাদিপশুর খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। নেই জ্বালানী ফলে রান্নার চুলা জ্বলছে না। জেলা প্রশাসন থেকে ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম চলমান থাকলে তা অপ্রতুল। আর গো-খাদ্য সংকট নিয়ে দুঃশ্চিন্তা আছে বানভাসিরা।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রাফসান জানান, ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, দুধকুমার নদের ৫টি পয়েন্টের পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সকাল ৯টার দেওয়া তথ্য অনুসারে ব্রহ্মপুত্র নদে পানি হাতিয়া পয়েন্টে ৩২ সে.মি., চিলমারী পয়েন্টে ৩৪ ও নুনখাওয়া পয়েন্টে ৪৯ পয়েন্টে,  ধরলা নদীর পানি ৮ সে.মি. এবং দুধকুমার নদের পানি বিপদসীমা সীমার ৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। 

গত ১০ দিন ধরে জেলার ৯ উপজেলার দুই লক্ষাধীক পানিবন্দি মানুষের দূর্ভোগের শেষ নেই। রাস্তা ঘাট তলিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। চলতি বন্যায় নাগেশ্বরী উপজেলার দুটি বাঁধের দুই স্থানে ভেঙে যাওয়ায় ভাঙা অংশ দিয়ে পানি ঢুকে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়েছে। চর দ্বীপ চর ও নিম্নাঞ্চলের মানুষের ঘরে চাল ডাল থাকার পরেও জ্বালানির সংকটে রান্না করে খেতে পারছে না। ফলে খেয়ে না খেয়ে কোনো রকম বেঁচে আছেন এই বানভাসি মানুষগুলো। অনেকে ঘরবাড়ি ছেড়ে পরিবারের লোক জন উঁচু স্থানে অবস্থান করতেছে। উপায় না পেয়ে অনেকের নৌকার ভিতর রাত কাটাতে হচ্ছে। 

সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের রলাকাটা গ্রামের আজগার আলী বলেন, টানা ১০ দিন ধরে ঘরে বাইরে পানি। মাঁচার ওপর ছোট বাচ্চাদের নিয়ে খুব কষ্টে আছি। কাজ কামাই নাই, হাতে টাকা নেই, খাওয়ার-থাকার কষ্ট, চরম কষ্ট প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে যাওয়া বিশেষ করে নারী ও বৃদ্ধ সদস্যদের নিয়ে। নানামুখী সমস্যা আর দুর্ভোগে কি করি কোথায় যাই।

আরেক বাসিন্দা নুর মামুন বলেন, পানি কমে আবার বাড়তেছে। মানুষের দূর্ভোগের মত গরু ছাগল নিয়ে আমরা বিপাকে পড়েছি। পানিতে কতক্ষণ গরু দাঁড়িয়ে থাকে। দুরে এক জায়গায় রেখে আসব সে ভরসা পাই না। কখন যে চুরি হয়ে যায়? 

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল হাই সরকার বলেন, জেলার বন্যা কবলিতদের জন্য এখন পর্যন্ত ৫৪২ মেট্রিক টন চাল, ৩২ লাখ ৮৫ হাজার টাকা ও ২৩ হাজার ১২০ প্যাকেট শুকনো খাবার ৯ উপজেলায় বিতরণ করা হয়েছে। আর গো খাদ্যের কোনো বরাদ্দ নেই।

Jamuna Electronics
wholesaleclub

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম